এটা এখন আর নতুন ঘটনা নয়, আগেও হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ মামলায় আবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ করে দিল ডিভিশন বেঞ্চ (Division bench)। কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata Highcourt) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তাঁর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল। বুধবার বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় গত ৩রা জানুয়ারি রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশের জন্য ডেডলাইন ঠিক করে দিয়েছিলেন। গত বুধবার এই বিষয়ের মামলার শুনানিতে তিনি জানান, আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রাথমিকের ৪২ হাজার ৯৪৯ জন প্রার্থীর প্যানেল প্রকাশ করতে হবে পর্ষদকে। ওইসময়ের মধ্যে পর্ষদ প্যানেল প্রকাশ করতে না পারে আদালতে জমা দিতে হবে এই সংক্রান্ত হার্ডকপি।
আরও পড়ুন-গান স্যালুটে শেষ বিদায় জানানো হল উস্তাদ রাশিদ খানকে
আদালত সূত্রে খবর, মামলাটি ২০১৪ সালের। ২০১৬ এবং ২০২০ সালে, দু’দফায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা পর্ষদকে প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। গত ১২ ডিসেম্বর পর্ষদ হলফনামা দিয়ে জানিয়ে দেয় যে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে একটি প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু ২০১৬ সালের নিয়োগের রীতি মেনে প্যানেল প্রকাশের নিয়ম নেই। আদালত এই অবস্থায় পর্ষদের যুক্তি খারিজ করে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল দেখতে চেয়েছিল। বেআইনিভাবে যে ৯৪ জন চাকরি পেয়েছেন, তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে উদ্ধার একই পরিবারের ৫ সদস্যের মৃত.দেহ
বিচারপতি গত ১২ ডিসেম্বর প্যানেল প্রকাশ করতে না চাওয়ার জন্য পর্ষদকে তিরস্কার করেন। প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদ সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে। ডিভিশন বেঞ্চ ওই মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে দেয়। ১০ দিনের মধ্যে পর্ষদকে প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।