প্রতিবেদন : কলকাতা বাদে ১২৭টি পুরসভা ও নিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের যাবতীয় কাজকর্মকে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে নিয়ে আসা হচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যের পুরস্বাস্থ্যের বিষয়টি দেখভাল করে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অধীনে থাকা সুডা বা স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি। আবার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিস থেকেও পুরস্বাস্থ্যের জন্য অর্থবরাদ্দ হয়।
আরও পড়ুন-পদ্ম-নির্দলের ২ কাউন্সিলর মন্ত্রীর হাত ধরে তৃণমূলে
পুরসভা ও কর্পোরেশনগুলির নিজস্ব বাজেট থাকে পুরস্বাস্থ্য বিভাগের জন্য। এতগুলি আলাদা আলাদা ‘কমান্ড’ থাকায় কাজের সমস্যা হয়। এসব মাথায় রেখেই এবার পুরস্বাস্থ্য বিভাগকে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে আনা হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। এর ফলে রাজ্যের পুরসভাগুলির স্বাস্থ্যবিভাগের যাবতীয় কাজকর্ম যেমন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা দেখভাল করবেন তেমনই নজরদারিও থাকবে। বাড়বে সমন্বয়, উন্নত হবে স্বাস্থ্য পরিষেবা। স্বাভাবিকভাবেই উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠকেও এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সাল থেকেই কলকাতা বাদ দিয়ে বাংলার সব শহরের পুরস্বাস্থ্য বিভাগকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে আনার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকেও তা শুধু পাশ করিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-শুরু হল নিয়োগ প্রক্রিয়া আবেগে ভাসলেন প্রার্থীরা
তবে এর জেরে লাভবান হতে পারেন পুরস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী ও আধিকারিকরা। কেননা এক্ষেত্রে তাঁদের বেতন ও অনান্য সুযোগসুবিধা রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগের বেতন ও সুযোগসুবিধার সমতুল্য হয়ে যাবে বলে কিছু কিছু মহল থেকে অনুমান করা হচ্ছে। রাজ্যের জেলায় জেলায় থাকা পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার খুঁটিনাটি সব কিছুতেই নজরদারি থাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে থাকা স্বাস্থ্য দফতরের। তবে পুরসভাগুলিতে পৃথক স্বাস্থ্যবিভাগ থাকে। এবার সেই ‘আরবান হেলথ’ বা পুর এলাকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও চলে আসছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে থাকা স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে। এর ফলে কলকাতা বাদে রাজ্যের ১২৭টি পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগের নিয়ন্ত্রণ আসতে চলেছে সরাসরি স্বাস্থ্যভবনের হাতে।