বাংলার লজ্জা

Must read

নিশীথ প্রামাণিক ও জন বার্লার (Nisith Pramanik- Jhon Barla) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা নিয়ে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য
* গত এক সপ্তাহে, দুই বিজেপি নেতা জন বার্লা এবং নিশীথ প্রামাণিকের অপরাধের জন্য তাঁদের নামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সাংসদ জন বার্লা ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের সাথে জড়িত ছিলেন, নিশীথ প্রামাণিক একটি চুরির মামলায় জড়িত ছিলেন।
* আদালত একটি পরোয়ানা জারি করতে বাধ্য হয়েছিল কারণ জন বার্লা (Nisith Pramanik- Jhon Barla) আদালতের সমনকে সম্মান করেননি। একজন সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কি এভাবেই আইনকে সম্মান করেন? এই নেতাদের কি সারা দেশের সামনে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করতে দেওয়া উচিত?
* এটা খুবই লজ্জার বিষয় যে দেশের একজন নয়, দু’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে এবং তাঁরা চুরির মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তাঁরা হলেন বাংলার লজ্জা।
* মোদির মন্ত্রিসভার মোট ৭৮ জন মন্ত্রীর মধ্যে অন্তত ৪২% (৩৩)-এর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে চারজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা সংক্রান্ত মামলাও রয়েছে এবং জন বার্লা এবং নিশীথ প্রামাণিক সেই তালিকায় রয়েছেন। বাংলার বিশুদ্ধ মাটি কলুষিত হচ্ছে খুনি ও অপরাধীদের জন্য। তারা বাংলার লজ্জা।
* নিশীথ প্রামাণিকের সহযোগী প্রীতিতোষ মণ্ডলকে কলকাতায় নবান্ন অভিযানের সময় সরকারি সম্পত্তিতে আগুন লাগাতে দেখা যায়। এই অপরাধী বিজেপি নেতারা আমাদের সোনার বাংলাকে লজ্জা দিয়েছে।
* নিশীথ প্রামাণিক এবং জন বার্লার মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় যে কীভাবে বিজেপিতে শুধুমাত্র দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদেরই উপস্থিতি। দুর্নীতি এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, এই হল বিজেপিতে যোগদানের একমাত্র যোগ্যতার মাপকাঠি।
* এই নেতারা বারবার রাজনৈতিক কারণে বাংলাকে ভাগ করার কথা বলেছেন। বিজেপি বাংলাকে ভাগ করতে চায় কিন্তু দিদি এবং আমাদের মাননীয় জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় এক বাংলা, অখণ্ড বাংলার কথা বলেন।
* ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাদের ‘আব কি বার, ২০০ পার’ ইচ্ছের ব্যর্থতার পরে, তারা এখন রাজ্য ভেঙে একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করার চেষ্টা করছে।
* ২০২১ সাল থেকে প্রতিটি পদক্ষেপের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, বঙ্গ এবং কেন্দ্রীয় বিজেপি বাংলার বদনাম করার পাশাপাশি প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। তারা তাদের চিরাচরিত হিংসার সংস্কৃতি নিয়ে এসেছে এবং তা এখানে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমাদের সাধারণ মানুষ তা বরাবরের মতো প্রতিহত করবে।
* বিজেপি বাংলাকে হিংসা-প্রবণ রাজ্য বলে বদনাম করার চেষ্টা করে চলেছে। বাস্তবে, বিজেপি-শাসিত রাজ্যে সবথেকে বেশি অপরাধের হার। এনসিআরবি অনুসারে, বাংলার কলকাতা সবচেয়ে নিরাপদ শহর এবং অমিত শাহের দিল্লি দেশের সবচেয়ে অনিরাপদ শহর। এ বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া কী?
* শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, আমরা শুনেছি ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা কীভাবে আলাদা ‘রাঢ় বঙ্গের’ দাবি করেছেন। বিজেপিই আসল ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ কারণ তারা বাংলা ও আমাদের দেশকে ভাগ করতে চায়।
* মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই বাংলা ও আমাদের জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছে। রাজবংশী থেকে মতুয়া, আদিবাসী থেকে এ-অঞ্চলের প্রতিটি সম্প্রদায়ের জন্য। আলিপুরদুয়ারের ১২,০০০-এরও বেশি মানুষকে ইতিমধ্যেই জমির অধিকার (পাট্টা) দেওয়া হয়েছে। ২০১১ সালে সিপিআইএমের যুগে, চা শ্রমিকরা দিনে ৬৭ টাকা আয় করত। তৃণমূল কংগ্রেস সরকার প্রতিদিনের পরিমাণ বাড়িয়ে তা ২৩২ টাকা করেছে।

আরও পড়ুন-তৃণমূলের প্রতিবাদে উত্তাল শিলিগুড়ি

Latest article