সংবাদদাতা, কাটোয়া : ঠিকমতো বৃষ্টি না হওয়ায় এবার রাজ্যের ‘শস্যগোলা’ পূর্ব বর্ধমানে দেরি হয় আমন চাষে। তা সত্ত্বেও ধান ফলনে এবার রেকর্ড করতে চলেছে জেলা। ৩ লক্ষ ৭৪ হাজার ১৫৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। কৃষি দফতরের হিসেব, এবার জেলায় সব মিলিয়ে ১৯ লক্ষ ৩২ হাজার ৫৫৮ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা। ধান কাটার মুখে পোকার হামলায় কিছু ক্ষতি না হলে ২০ লক্ষ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যেত। ধান কাটার কাজ শেষ পর্যায়ে।
আরও পড়ুন-আদালতে প্রশ্নের মুখে সিবিআই
তাতে দেখা যাচ্ছে, সবথেকে বেশি উৎপাদনের সম্ভাবনা গলসি ২ ব্লকে, ১ লক্ষ ৮ হাজার ৯৫৬ মেট্রিক টন। মঙ্গলকোট, মন্তেশ্বর ও আউশগ্রাম ২ ব্লকেও ভাল ফলন হবে। কৃষিকর্তাদের কথায়, পর্যাপ্ত না হলেও মোটামুটি বৃষ্টি হওয়ায় সেচে সংকট হয়নি। ভাল রোদে পোকামাকড়ের আক্রমণও দানা বাঁধতে পারেনি। কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে মাঠে নেমে খাদ্য দফতর শুরু করেছে ধান কেনা। জেলায় ৬ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আমনের পর রবি ও বোরোচাষেও কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে প্রায় ৭ লক্ষ কৃষককে বিমার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। বিমা করাতে জেলার সমস্ত পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ক্যাম্প করবে কৃষি দফতর।
আরও পড়ুন-প্রতিশ্রুতিমতো হলদিয়ার ২ গ্রামে পৌঁছল বিদ্যুতের খুঁটি
বোরো ধান, আলু, গম, ভুট্টা, ছোলা, মুসুর, খেসারি ও সর্ষে চাষে আবেদনের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর। আখ, মুগ, বাদাম, তিলের জন্য আবেদনের শেষ তারিখ ১৫ মার্চ। আলু ও আখ ছাড়া সব ফসলের ক্ষেত্রে বিমার কিস্তি দেয় রাজ্য। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘কৃষকদের শস্যবিমা সরকারের অন্যতম কৃষিবান্ধব প্রকল্প। সরকার কিস্তির টাকা মেটাচ্ছে। আবার ফসলের ক্ষতি হলেও কৃষকরা ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাচ্ছেন।’