নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে ফের উচ্ছেদ নোটিশ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের (Amartya Sen- Visva Bharati)। এবার বেঁধে দেওয়া হল সময়সীমাও। নোটিশে কড়া ভাষায় বলা হয়েছে, আগামী ৬ মে-এর মধ্যে অমর্ত্য সেনের “দখল”-এ থাকা ১৩ ডেসিমেল জমি খালি করতেই হবে, অন্যথায় বলপ্রয়োগেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়েছে, এই ১৫দিনের মধ্যে জায়গা না ছাড়লে অনুমোদিত দখলদার উচ্ছেদ আইনের ১৯৭১ ধারা ৫-এর উপধারা ১-এর অধীনে ক্ষমতা প্রয়োগ করে ফেরানো হবে ১৩ ডেসিমেল জমি। ৬ মে-র মধ্যে বিশ্বভারতীর প্লট নম্বর ২০১ উত্তর-পশ্চিম কোণে অর্থাৎ এল আর প্লট নম্বর ১৯০০/২৪৮৭ সুরুল মৌজার ১৯০০ জেএল নম্বর ১০৪ পাবলিক সম্পত্তির উপর অনুমোদিত ‘দখল’ জমি খালি করা নির্দেশ বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম কর্মসচিব ও এস্টেট অফিসারের। বিশ্বভারতীর শুনানিতে ১৯ এপ্রিল অমর্ত্য সেন অথবা তাঁর প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকার কারণে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের (Amartya Sen- Visva Bharati) বিরুদ্ধে এবার কড়া সিদ্ধান্ত এবং হুঁশিয়ারি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের।
এদিকে, পারিবারিক ভিটে জমি উত্তরাধিকার সূত্রে তাঁরই প্রাপ্য। এ নিয়ে কোনও বিতর্কের অবকাশ নেই। জুনে শান্তিনিকেতন ফিরে এলে আলোচনা হতে পারে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে ১৭ এপ্রিল এই মর্মে চিঠি পাঠান অমর্ত্য সেন। চিঠি পাঠিয়ে আলোচনার জন্য ৩ মাস সময় চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ৩ মাসের বদলে জমি খালি করার জন্য মাত্র ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিল। এই মুহূর্তে অমর্ত্য সেন বিদেশে থাকলেও জমি পুনরুদ্ধারে মরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি কতৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সময়সীমার মধ্যে জমি খালি না করা হলে বলপ্রয়োগ করা হবে।
আরও পড়ুন- অবিজেপি রাজ্যগুলিতে রাজ্যপালদের এক্তিয়ার নিয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন দলনেত্রীর