প্রতিবেদন : রাজ্যে চলছে জি-২০ গোষ্ঠীর আর্থিক বিষয়ক ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। কীভাবে সমাজের প্রান্তিকতম মানুষকে ব্যাঙ্কিং সহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল স্রোতে আনা যায় তা নিয়ে চলছে ভারী ভারী আলোচনা। এই বৈঠক চলাকালীনই ক্ষুদ্র ও তন্তুবায় ব্যবসায়ীদের ব্যাঙ্কের ঋণ পাওয়ার বিপুল সমস্যার কথা তুলে ধরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান আর্থিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র (Nirmala Sitharaman- Amit Mitra)। চিঠিতে তিনি যে ছবি তুলে ধরেছেন তা জি-২০ বৈঠকের ভাবনার বিপরীত বললেও অত্যুক্তি হয় না। মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র লেখেন, ৪০ হাজার বুননশিল্পী ও আর্টিসানের ব্যাঙ্কের আবেদন ফেরানো হয়েছে। অর্থমন্ত্রীকে তিনি জানিয়েছেন, আপনি শুনলে অবাক হবেন, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে ১৫ হাজার ২৯৮ জন বুননশিল্পী লোনের জন্য আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে ১০ হাজার ১০৮ জনের আবেদনই খারিজ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, ২০২২ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর অর্থাৎ ৬ মাসে প্রায় ৪০ হাজার ক্ষুদ্র ও তন্তুবায় ব্যবসায়ী ব্যাঙ্ক লোন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন প্যান কার্ডের মতো নথি দাখিল করতে না পারার জন্য।
আরও পড়ুন-৪৪টি অঞ্চলে হবে কর্মসূচি, বাড়ি বাড়ি পৌঁছবেন দিদির দূতেরাও
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে (Nirmala Sitharaman- Amit Mitra) অমিত মিত্র লেখেন, রাজ্য স্তরের ব্যাঙ্কার কমিটির সঙ্গে সম্প্রতি একটি বৈঠকও হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, ‘এই বিপুল পরিমাণে আবেদন বাতিলের অন্যতম কারণ সরকার প্যান কার্ডের মতো বেশ কিছু নথি থাকা বাধ্যতামূলক করেছে।’ এই ধরনের বাধ্যবাধকতা ব্যাঙ্কগুলির হাত-পা বেঁধে রেখেছে বলে মনে করছেন অমিত মিত্র। এবছর জি-২০ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবে ভারত। জি-২০ দেশগুলি এই ক্ষুদ্রশিল্প নিয়ে কতটা সজাগ, তাদের গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানে এ নিয়ে যে ভাবনাচিন্তাও করছে সে বিষয়ও উঠে আসে রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর চিঠিতে। কেন্দ্রীয় সরকার যাতে এই বিষয়টি ভাবনাচিন্তা করে নিয়মে শিথিলতা আনে সেদিকটি নজরে আনতেই এই চিঠি।