বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে কটাক্ষ অনুব্রতর

Must read

সংবাদদাতা, বোলপুর: বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর দৌলতে আবারও বিতর্কের শিরোনামে বিশ্বভারতী। বিজেপির শহিদস্মরণ যাত্রার দিনে বিশ্বভারতীতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন উপাচার্য।

আরও পড়ুন : ভাঙন আইএসএফ-বিজেপিতে, ভাঙড়ে মেগা যোগদান

আমন্ত্রণ জানানো হয় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে। বিশ্বভারতীর নিজস্ব অনুষ্ঠানে দেখা যায় বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা ও বীরভূমের একমাত্র বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহাকে। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিশ্বভারতী ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে আশ্রমিকরা। আর এই প্রসঙ্গেই সরাসরি বিশ্বভারতীর উপাচার্যের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বলেছেন, ‘উপাচার্য পাগল।

আরও পড়ুন : কাবুলে আটকে দার্জিলিঙের ৩, ফেরাতে তৎপর প্রশাসন

মাঝেমধ্যে ঘরে ডিশ ভাঙেন। তখন ওঁর স্ত্রী ইঞ্জেকশন দিয়ে তাঁকে ঠিক করেন। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাঁম্পাসে মিটিং করব। দরকার হলে কেন্দ্রীয় ভবনের সামনে করব। উনি মনে করছেন, যা ইচ্ছে তাই করবেন! বিশ্বভারতীতে রঙ লাগাবেন! তা হতে দেব না।’ পাশাপাশি অনুব্রত প্রশ্ন তুলেছেন, ‘জেলা বিজেপি নেতা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যাালয়ে কেন? কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আসতেই পারেন। একশোবার আসতে পারেন। কিন্তু সেখানে জেলা বিজেপি নেতা কেন?’ এই ঘটনায় ঠাকুর পরিবারের সদস্য ও আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর জানান, ‘যা শুরু হয়েছে, বিশ্বভারতীকে আর বাঁচানো যাবে না! গুরুদেব কখনও রাজনৈতিক সংগঠনের হস্তক্ষেপের কথা বলেননি। এমনটি আগে কখনও হয়নি, যা এখন দেখতে হচ্ছে। কোনও রাজনৈতিক দল কোনোদিন ঢোকেনি এখন ঢুকছে। এর জন্য মূলত দায়ী উপাচার্য। বিশ্বভারতীর গেরুয়াকরণ করা হচ্ছে।’ এ ব্যা পারে বিশ্বভারতীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘বিশ্বভারতীর উপাচার্য নরেন্দ্র মোদির তল্পিবাহক হয়ে বিশ্বভারতীতে বিজেপিকে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী শুধু বিজেপির পতাকা নিয়ে রাস্তায় নামেননি। বিজেপির হয়ে যা যা করার, তাই করছেন।’ কেন্দ্রের গ্রন্থাগার থেকে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরিয়ে যাওয়ার পথে সুভাষ সরকার জানান, বিশ্বভারতীতে আসা শুধুমাত্র সৌজন্য সাক্ষাৎকার। শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত আছেন তিনি তাই এসেছেন। ছাত্র সাসপেন্ড নিয়ে এক প্রশ্নের তিনি বলেন, পুরোটা তদন্ত প্রক্রিয়ায় আছে। বর্ধমানের গলসীতে কালো পতাকা দেখানো নিয়ে মুখ খুলতে চাননি মন্ত্রী সুভাষ। এত সব বিতর্কের মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের আরেক মন্তব্যে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। সুভাষ বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ নাকি কালো ছিলেন বলে ছোটবেলায় কেউ তাঁকে কোলে নিত না। ব্যস, এই মন্তব্য ঘিের শুরু হয়ে গিয়েছে নানান তীর্যক মন্তব্য, মিম।

Latest article