প্রতিবেদন : সারা দেশের মধ্যেই বাংলায় প্রথম চালু হতে চলেছে সরকারি অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা। বেসরকারি অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলির পরিষেবা নিয়ে ওঠা নানা অভিযোগের নিরসনে সরকারের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে পরিবহণ বিশেষজ্ঞদের অভিমত। অ্যাপ ক্যাবের বিরুদ্ধে নানা অজুহাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ প্রতিনিয়ত সামনে আসে। যাত্রী নিরাপত্তা নিয়েও না-খুশ গ্রাহকরা। অনেকেই চেয়েছিলেন এসব অভিযোগ দমাতে সরকার হস্তক্ষেপ করুক। নবান্ন তৎপর হয়।
আরও পড়ুন-কুড়মিরাই আন্দোলন নিয়ে বিভক্ত হয়ে গেল, সমাধানসূত্র মিলল না
জানা গিয়েছে, রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি দফতর একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। যার মাধ্যমে বাজার চলতি অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলির চেয়ে অন্ততপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ কম ভাড়ায় গন্তব্যে পৌঁছবেন যাত্রীরা। ইতিমধ্যেই অ্যাপটি অনুমোদন পেয়েছে। অ্যাপটি কয়েকটি হলুদ ট্যাক্সিতেও ইনস্টল করা হয়েছে। শিয়ালদহ, হাওড়া, কলকাতা রেল স্টেশন এবং দমদম এয়ারপোর্ট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে সরকারি অ্যাপ ক্যাব চালু হয়েছে। সব ঠিকঠাক চললে আগামী পয়লা বৈশাখ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সরকারি পরিষেবা চালু হবে। জানা গিয়েছে, আইটি দফতর বিষয়টি দেখভাল করছে। পুলিশের তত্ত্বাবধানে শহরের চার জায়গা থেকে ট্রায়াল রান সফল হয়েছে। হালে অসংখ্য হলুদ ট্যাক্সি কার্যত বসে রয়েছে। একাধিক ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা করে সেগুলিকে প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে বলে খবর।
আরও পড়ুন-বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে দিলীপ
জানা গিয়েছে, হলুদ ট্যাক্সির ভাড়ার উপর অতিরিক্ত ৫ থেকে ১০ শতাংশ মূল্য যোগ করে সরকারি অ্যাপ ক্যাবের ভাড়া নির্ধারণ করা হচ্ছে। বেসরকারি অ্যাপ ক্যাবে ভাড়া ১০০ টাকা হলে, এক্ষেত্রে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা ভাড়া হবে। উল্লেখ্য, বেসরকারি অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ২০২১ সালের মার্চে পরিবহণ দফতর নির্দিষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করেছিল। অভিযোগ উঠছে, সংস্থাগুলো সরকারের বেশিরভাগ সুপারিশই মানছে না। তাই মনে করা হচ্ছে, বেসরকারি সংস্থাগুলির দাপট কমাতেই সরকার এমন উদ্যোগ নিচ্ছে।