সুমন তালুকদার, বারাকপুর: কেন্দ্রের তরফে ডাকা ত্রিপাক্ষিক বৈঠক থেকে বাদ দেওয়া হল বিজেপির বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংকে। পাটের সমস্যা নিয়ে এবং শ্রমিকদের পক্ষ নিয়ে বস্ত্রমন্ত্রকের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন অর্জুন। এমনকি পাটশিল্প বাঁচাতে কেন্দ্রের নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রতিবাদ শুরু করেছিলেন সেই প্রতিবাদকে সমর্থনও করেছিলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন।
আরও পড়ুন-মোকাবিলায় দিঘা
সেই পরিপেক্ষিতে পাটশিল্প নিয়ে কেন্দ্রের ডাকা ত্রিপাক্ষিক বৈঠক থেকে বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অর্জুন সিংকে বাদ দেওয়াতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারেরর দাবি, এই বৈঠকটি ডেকেছে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রক। সোমবারই দিল্লিতে এই বৈঠক হচ্ছে। যেখানে বস্ত্রমন্ত্রকের সচিব ছাড়াও থাকছেন এ রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রধান সচিব এবং চটকল মালিকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান জুটমিল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা। পশ্চিমবঙ্গে চটকলকে ঘিরে একাধিক সমস্যা রয়েছে। কিন্তু এরমধ্যে সবচেয়ে বড় সঙ্কট তৈরি হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার একতরফা পাটের গাট বা বেল সর্বোচ্চ দাম বেধে দেওয়া পশ্চিমবঙ্গে এখন রেকর্ড পরিমাণ পাট উৎপাদিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন-মেগা কন্ট্রোল রুম
কিন্তু পাটের দাম না বাড়ানোয় এই সঙ্কট। এছাড়া চটের বস্তার পরিবর্তে ৬০ শতাংশের বেশি প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন চটকলে। শ্রমিকরা হারাচ্ছেন কাজ। এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হওয়া অর্জুন ডাক না পাওয়ায় তিনি যে বিজেপি সরকারের বঞ্চনার শিকার হতে হয় তা আবার প্রমানিত হল। আর এই ঘটনায় যে অর্জুন ব্যপক চটেছেন তা তার এদিনের বক্তব্যে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। তিনি বলেন, তাকে ডাকা হলে বিষয়টা ভালো হত। কারণ তিনি সমস্ত বিষয়টা জানেন পাটশিল্পের কি কি সমস্যা। কিন্তু ডাকা হয়নি তাকে। তাতে তার ক্ষোভ নেই। তবে মিটিং যদি সদর্থক না হয় তা হলে তিনি আবারও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পথে হাঁটবেন।
আরও পড়ুন-বৃষ্টির মধ্যেও বাংলা জুড়ে রবীন্দ্রপ্রণাম
এমনটাই জানালেন অর্জুন সিং। তিনি আরও বলেন এই পাটশিল্পের সঙ্গে কৃষক থেকে শুরু করে শ্রমিক সহ অন্যদের মিলিয়ে প্রায় দুই থেকে আড়াই কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে যুক্ত। সেই বিষয়টিতে কেন্দ্রের কোনও গাফিলতি দেখলে তিনি বিজেপি সাংসদ হয়েও মানুষের স্বার্থে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে পিছপা হবেন না।