কলকাতার ছটপুজোয় কৃত্রিম জলাশয় পুরসভার

শুধু এই কৃত্রিম পুকুরগুলিই নয়, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব কলকাতার বেশ কিছু বড় জলাশয়কেও ছটপুজোর উপযুক্ত করে তুলেছে পুরকর্তৃপক্ষ।

Must read

প্রতিবেদন : রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোর অনুমতি নেই। তাই বিকল্প হিসেবে ছটপুজো উপলক্ষে দক্ষিণ কলকাতায় ৫টি কৃত্রিম পুকুর তৈরি করে দিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। পণ্ডিতিয়া রোড, কর্নফিল্ড রোড, চেতলা, দেশপ্রাণ শাসমল রোড সহ মোট ৫টি জায়গাকে এর জন্য ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করে কাজ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতিমতো চা-বলয়ে মিটল জলের সমস্যা, সিত্রাংয়ে ক্ষতি দুই ২৪ পরগনায়

আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা খরচ ধরা হয়েছে কৃত্রিম পুকুর নির্মাণে। লক্ষ্য, কৃত্রিম পুকুরগুলিতে ছটপুজোয় ধর্মীয় আচার পালন করতে পারেন যাতে অন্তত ২ লক্ষ মানুষ। কলকাতা পুরসভার এক শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। কেন্দ্রীয় পুরভবনে আয়োজিত এই বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। উপস্থিত ছিলেন কেএমডিএ, কলকাতা পুলিশ এবং কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের পদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে তৈরি করা হবে এই কৃত্রিম পুকুর? পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে সুনির্দিষ্ট মাপের কৃত্রিম জলাধার তৈরি করা হবে। তারপরে তা ভরিয়ে দেওয়া হবে জলে।

আরও পড়ুন-বিদ্রোহের চোরাস্রোত বিজেপিতে

শুধু এই কৃত্রিম পুকুরগুলিই নয়, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব কলকাতার বেশ কিছু বড় জলাশয়কেও ছটপুজোর উপযুক্ত করে তুলেছে পুরকর্তৃপক্ষ। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য, রানিকুঠির রানিদিঘি, লায়েলকা পুকুর, পাটুলি এবং আনন্দপুরের পুতুল। থাকছে পুণ্যার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। এছাড়াও হুগলি নদীর বিভিন্ন ঘাটেও পুরসভার পক্ষ থেকে যথারীতি রাখা হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থা। বাবুঘাট, আহিরীটোলা, বাগবাজার, দইঘাট, জগন্নাথঘাট, নিমতলাঘাট, কুমোরটুলি সহ বিভিন্ন ঘাটে মোতায়েন করা হচ্ছে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পর্যাপ্ত সংখ্যার পুরকর্মী। সবমিলিয়ে ছটপুজোর আয়োজনে কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছে না কলকাতা পুরসভা।

Latest article