প্রতিবেদন : দেউচা-পাঁচামি কয়লা খনি প্রকল্পে খননের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হবে শীঘ্রই। প্রথম পর্যায়ে ভূগর্ভে থাকা কয়লার স্তরের ঠিক উপরের স্তরে থাকা ব্যাসল্ট তোলার কাজ শুরু করা হবে। তার আগে কাজের রূপরেখা নিয়ে পোল্যান্ডের বিশেষজ্ঞদলের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। শুক্রবার বিধাননগরের বিদ্যুৎ ভবনে পোল্যান্ডের মাইলেশিয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জেকব সেলটোস্কির নেতৃত্বে আসা মোট ছয় সদস্যের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা করেন মন্ত্রী। ব্যাসল্ট সংক্রান্ত গ্লোবাল টেন্ডার খুব শীঘ্র ডাকা হবে বলে মন্ত্রী বৈঠকে জানিয়েছেন। এদিনের বৈঠকে বিদ্যুৎসচিব শান্তনু বসু উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন-চাকরি দেওয়ার নাম করে ভারতীয়দের যুদ্ধে, নামাচ্ছে রাশিয়া! অভিযোগ স্বীকার কেন্দ্রের
প্রায় ৩৪০০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত দেউচা-পাঁচামি কয়লা খনি। কয়লার স্তরের উপরে প্রায় ১৪২ মেট্রিক টন ব্যাসল্ট পাথর আছে বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে। খোলা বাজারে এই ব্যাসল্ট পাথরের দাম প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা। শীঘ্রই ব্যাসল্ট পাথর তোলার জন্য টেন্ডারের প্রক্রিয়া শুরু হবে। দেউচা-পাঁচামিতে কত কয়লা মজুত রয়েছে, তার ধারণা ইতিমধ্যে দিয়েছে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। ২০০৮ সালে একবার সংসদে লিখিত প্রশ্নের জবাবে তৎকালীন কেন্দ্রীয় কয়লা প্রতিমন্ত্রী সন্তোষ বাগরোডিয়া জানিয়েছিলেন, দেউচা-পাঁচামি এলাকায় কয়লার চারটি জোন রয়েছে। তাতে ২০২৬ মিলিয়ন টন তথা ২০২.৬ কোটি টন কয়লা মজুত রয়েছে। তবে এর উপরে তিন থেকে পাঁচটি স্তরে রয়েছে ব্যাসল্টের চাদর।
আরও পড়ুন-ছাত্রীর অভিযোগে যাদবপুরে স্থগিত প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা
ব্যাসল্টে লোহা ও ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। দেউচা-পাঁচামি এলাকায় মাটির নিচে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ মিটার পুরু ব্যাসল্ট পাথরের চাদর রয়েছে। তার নিচে রয়েছে কয়লা। অর্থাৎ কয়লার নাগাল পেতে হলে আগে ব্যাসল্টের চাদর সরাতে হবে। প্রথম ধাপে ৪২০ একর জমিতে ব্যাসল্ট পাথর তোলার কাজ শুরু করতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ব্যাসল্ট রক বা ব্যাসল্ট পাথরের বাজারে চাহিদা প্রচুর। এই পাথর মূলত রাস্তা তৈরি, বাড়ি তৈরি, ব্রিজ তৈরিতে ব্যাপক চাহিদা। ৪২০ একর জমি থেকে প্রায় ১৪২ মিলিয়ন টন অর্থাৎ ১৪.২ কোটি টন ব্যাসল্ট পাথর পাওয়া যেতে পারে।