মণীশ কীর্তনিয়া: সিত্রাং বাংলাদেশে আছড়ে পড়ায় এ যাত্রায় বাংলা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে। তবুও দুই ২৪ পরগনা মিলিয়ে মোট ১৩টি জায়গায় অল্পবিস্তর ক্ষতি হয়েছে সিত্রাংয়ের প্রভাবে। সুন্দরবনের বেশ কিছু এলাকা যেমন হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, গোসাবার মতো এলাকায় প্রভাব পড়েছে।
আরও পড়ুন-বিদ্রোহের চোরাস্রোত বিজেপিতে
একথা জানিয়েছেন সেচ ও জলসম্পদ দফতরের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। কালীপুজোর দিন যখন গোটা রাজ্য উৎসবে মেতে ছিল সেসময় তিনি সল্টলেকের জলসম্পদ ভবনে তাঁর দফতরে অফিসার-চিফ ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে নিয়ে ঠায় বসে থেকেছেন। দুই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুরে ঘন ঘন খোঁজ নিয়েছেন। একেবারে নিচুতলায় ফিল্ড অফিসারদের থেকে সরাসরি ইনপুট নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পরেও পার্থ ভৌমিক হাজির দফতরে।
আরও পড়ুন-তালা ভেঙে লার্ভা নিধন
দুপুরে সল্টলেকের দফতরে তাঁর সঙ্গে যখন দেখা হল তখনও তিনি বৈঠক করছেন অফিসারদের সঙ্গে। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নিচ্ছেন। এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের ছুটি চলছে। কিন্তু সেচ ও জলসম্পদ দফতরের বিশেষ আধিকারিক ও ফিল্ড অফিসারদের ছুটি বাতিল করা হয়েছিল সিত্রাংয়ের জন্য। দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত চট্টোপাধ্যায় বললেন, আমরা সবরকম ভাবে প্রস্তুত ছিলাম। প্রতি মহূর্তে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও বিডিওর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলাম আমরা। যে কোনও পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম।
আগামী ২৪ নভেম্বর আলিপুরদুয়ার যাচ্ছেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। গত সেপ্টেম্বর মাসে চা-শ্রমিকদের সম্মেলনে গিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অদূর ভবিষ্যতে উত্তরের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার সহ কয়েকটি জেলায় চাষের জলের সমস্যা মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই কাজ শেষ হয়ে এসেছে। তারই তদারকিতে যাচ্ছেন পার্থ ভৌমিক।
আরও পড়ুন-বোমা ফেটে মৃত্যু শিশুর, আহত এক
মন্ত্রী জানালেন, ৫টি ক্যানালকে প্রস্তুত করা হয়েছে সারা বছর জলের প্রবাহের জন্য। সেগুলি হল—(১) ঝুমুর ঝোরা, (২) কিলডং ঝোরা (৩) বাতাবাড়ি (৪) নার্থালি-কাম্যাখ্যাগুড়ি (৫) সান্তাল ঝোরা।
এছাড়া আরও তিনটি নতুন ক্যানাল রেডি করা হয়েছে। সেগুলি হল— (১) বিশ বাঁধ (২) কুলকুলি দাড়ি ঝোরা (৩) বিশ্রাম ঝোরা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে চা-বলয় সহ উত্তরের সার্বিক উন্নয়নের কাজ যত দ্রুত সম্ভব সেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য জুড়েই উন্নয়নের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ আটকে রেখেছে। তা সত্ত্বেও উন্নয়নের কাজ থমকে নেই।