পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জেরে কি এবার বাজার থেকে কোভিডের ভ্যাকসিন তুলে নিচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা (AstraZeneca)? এমন প্রশ্ন তো উঠছেই। কারণ বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সংস্থা কোভিড ভ্যাকসিং তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। দিন কয়েক আগে এই সংস্থা টিকার সাইড এফেক্টের কথা স্বীকার করে নিয়েছিল। এবার বিশ্ববাজার থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাক্সজেভরিয়া, কোভিশিল্ড–সহ অন্যান্য আরও যা কোভিড ভ্যাকসিন রয়েছে, তা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
তবে বিশ্ববাজার থেকে কোভিড টিকা তুলে নেওয়ার পিছনে অন্য কারণের কথা বলেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা (AstraZeneca)। সংস্থা জানিয়েছে, কোভিড ভ্যাকসিনের চাহিদা বিশ্ববাজারে বর্তমানে কমে যাওয়ায় অর্থাৎ সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক কারণে বাজার থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে এই টিকা। এর সঙ্গে সাইড এফেক্টের কোনও সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন- বিরোধীদের বেলাগাম সন্ত্রাস, ভোট পড়ল ৭৩.৯৩ শতাংশ, ৪ কেন্দ্রের ভোটে বাউন্ডারি তৃণমূলের
জানা গিয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা বাজার থেকে কোভিড ভ্যাকসিন তুলে নেওয়ার জন্য গত ৫ মে আবেদন করেছিল। এর পর গতকাল, ৭ মে থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে এই ভ্যাকসিন ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ব্রিটেন-সহ একাধিক দেশেও এই টিকার প্রয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কোভিশিল্ডের সাইড এফেক্ট নিয়ে চাপে কেন্দ্র। কারণ ভারতের বহু মানুষ ওই টিকা নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে আইসিএমআর প্রধান জানিয়েছেন, ১০ লক্ষের মধ্যে মাত্র ৭ জনের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে। রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। একে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় থ্রম্বোসিস থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম, সংক্ষেপে টিটিএস। টিকা নেওয়ার ৬ মাসের মধ্যেই টিটিএস চিহ্নিত হয়। তবে তা বিরল। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেই জানানো হয়েছে।