প্রতিবেদন : মানসিক বৈকল্যের চরম দৃষ্টান্ত। অবোধ শিশুর কান্নায় ঘুমে ব্যাঘাত ঘটছে বলে দু’বছরের একরত্তি মেয়েকে গলা টিপে মারল তার কাকিমা। ঘটনা সামনে আসতেই স্তম্ভিত সবাই। মধ্যপ্রদেশের (Madhya pradesh) জবলপুরে ঘটনাটি ঘটেছে।
ঠিক কী ঘটেছিল? বাড়ি মাতিয়ে রাখত যে একরত্তি মেয়ে, তাকে আচমকা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। উদ্বেগ ও আশঙ্কা নিয়ে
পুলিশের দ্বারস্থ হয় শিশুটির পরিবার। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। কিন্তু রাস্তার কোনও ফুটেজেই দেখা যায়নি তাকে। বাড়িতেই কিছু ঘটেছে অনুমান করে বাড়ির ভিতরে তল্লাশি চালায় পুলিশ।
অবশেষে খোঁজ পাওয়া যায় দু’বছরের একরত্তির। তখন তার দেহে প্রাণ ছিল না। ঘরের ভিতর সোফার নিচে মেলে শিশুকন্যার প্রাণহীন দেহ। এরপরই একে একে বাড়ির লোকদের জেরা শুরু করে পুলিশ। অবশেষে দোষী চিহ্নিত হয়। জানা যায়, ফুলের মতো শিশুটিকে খুন করেছিল তার কাকিমাই।
পুলিশ জানিয়েছে, গত সোমবার জবলপুরের (Jabalpur in Madhya pradesh) এক পরিবার তাদের শিশু নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ জানায়। পরিবারের তরফে জানানো হয়, বিকেল থেকে শিশুটিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেও লাভ হয়নি। তখন পুলিশের সন্দেহ গিয়ে পড়ে পরিবারের উপর। পরিবারের সদস্যদের জেরা শুরু হয়। পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি চালাতেই সোফার নিচ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। জেরায় জানা যায়, শিশুটিকে শেষবার তার কাকিমার সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। পরে ওই মহিলাকে আটক করা হয়। পুলিশি জেরায় ওই মহিলা ভাইঝিকে খুনের কথা স্বীকার করে।
জানা যায়, দুই ভাইয়ের যৌথ পরিবারে সোমবার দুপুরে ছোট্ট ভাইঝি কাকিমার ঘরে আসে। তিনি ঘুমোবেন বলে শিশুটিকে তাঁর নিজের ঘরে যেতে বলেন। কিন্তু ভাইঝি যেতে না চাওয়ায় সপাটে চড় মারে কাকিমা। এরপরই শিশুটি কাঁদতে শুরু করে। কিছুতেই চুপ না করায় রাগে শিশুটির গলা টিপে খুন করে নিজের কাকিমাই। এরপর দেহ সোফার নিচে লুকিয়ে রাখে। অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।