চন্দ্রমণি ইকো ট্যুরিজম
জয়রামবাটি, কামারপুকুর। মা সারদা এবং শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের স্মৃতি বিজড়িত। সারা বছর বহু পর্যটকের ভিড়। এই দুই জায়গার কাছাকাছি আছে আরও একটি অনবদ্য বেড়ানোর জায়গা। চন্দ্রমণি ইকো ট্যুরিজম পার্ক। কামারপুকুর গ্রামপঞ্চায়েতের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে। জয়রামবাটি এবং কামারপুকুর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে। সাতবেড়িয়ায়। শ্রীরামকৃষ্ণদেবের মা চন্দ্রমণিদেবীর নামে হয়েছে নামকরণ। কামারপুকুর গ্রামপঞ্চায়েত পুরো পার্কটি দেখাশোনার দায়িত্বে। বর্ষায় চন্দ্রমণি ইকো ট্যুরিজম পার্কে এলেই মন একেবারে অন্যরকম হয়ে যায়। যাঁরা জয়রামবাটি কামারপুকুর দেখতে চান, তাঁরা অনায়াসেই এখানে থাকতে পারেন। দারুণ ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে পার্কটি। রয়েছে সুন্দর একটি বাগান। বড় পুকুর। কাছেই সবুজ ধানের খেত। কামারপুকুর-জয়রামবাটি ছাড়াও কাছেপিঠে আছে আরও কিছু বেড়ানোর জায়গা।
আরও পড়ুন-অসমে মায়ের গায়ে ফুটন্ত জল, লাঠি দিয়ে মারধর
কীভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে ট্রেনে আরামবাগ। আরামবাগ থেকে বাস। কলকাতা থেকে সরাসরি বাস বা ব্যক্তিগত গাড়িতেও যাওয়া যায়। ধর্মতলা থেকে যেতে পারেন জয়রামবাটি, কামারপুকুর, বদনগঞ্জের বাসে। নামতে হবে কামারপুকুর চটি। তারপর ভরসা স্থানীয় যানবাহন।
আরও পড়ুন-মহম্মদ সেলিমকে তিন পাতার আইনি নোটিশ পাঠালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
কোথায় থাকবেন?
ইকো ট্যুরিজম পার্কে থাকা যায়। পাশাপাশি থাকা যায় জয়রামবাটি কামারপুকুরের হোটেলে। থাকা-খাওয়ার কোনও অসুবিধা হবে না।
দুর্গাডি ইকো ট্যুরিজম
পর্যটকদের পছন্দের বেড়ানোর জায়গা পুরুলিয়া। আছে পাহাড়, আছে জঙ্গল। প্রকৃতির অপরূপ শোভা উপভোগ করার জন্য ভিড় জমান অনেকেই। পুরুলিয়ায় আরও একটি নতুন বেড়ানোর জায়গা সংযোজিত হয়েছে। অবস্থান মানবাজার ২ নম্বর ব্লকের, বড়গোড়িয়া জামতোড়িয়া পঞ্চায়েতের পিড়রা ও ধাদকিডি গ্রাম সংলগ্ন এলাকায়। জায়গাটির নাম দুর্গাডি ইকো ট্যুরিজম সাইট। এখানে তৈরি হয়েছে অনেকগুলি সরকারি কটেজ। এছাড়াও রয়েছে চিলড্রেন পার্ক, ক্যান্টিন সহ আরও অনেক কিছু। ক্যাম্পিং টেন্ট ও বনফায়ারের ব্যবস্থাও আছে। সোনাঝুরি ও নানান গাছগাছালির সবুজে ঘেরা কংসাবতী জলাধারের ঢেউ পাহাড়ের পাদদেশে আছড়ে পড়ে।
আরও পড়ুন-ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ৮১তম বর্ষপূর্তিতে বিজেপিকে উৎখাত করার ডাক দলনেত্রীর
কীভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে ট্রেনে অথবা ধর্মতলা থেকে বাসে পৌঁছে যেতে পারেন পুরুলিয়ায়। পুরুলিয়া স্টেশন বা বাসস্ট্যান্ড থেকে বেসরকারি বা সরকারি বাসে পৌঁছে যান মানবাজার। স্টেশন বা বাসস্ট্যান্ড থেকে গাড়িও ভাড়া করে নেওয়া যায়। পুরুলিয়া থেকে মানবাজার মাত্র ঘণ্টা দেড়েকের পথ। মানবাজার নামলে একেবারে সামনেই দেখা যাবে দুর্গাডি ইকো ট্যুরিজম সাইট।
আরও পড়ুন-মন্ত্রিসভায় ৩ ভাষা নিয়ে সিদ্ধান্ত, কোনও ভাষা চাপানো হবে না, সাফ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
কোথায় পৌঁছবেন?
আছে সরকারি কটেজ। পাশাপাশি আছে হোটেল। ফলে থাকা এবং খাওয়ার বিন্দুমাত্র অসুবিধা হবে না। সবুজ প্রকৃতির কোলে দু’দিন সুন্দরভাবে কাটিয়ে আসা যায়।
অমর কুটির ইকো ট্যুরিজম
লাল মাটির দেশ বীরভূম। এই জেলার পরিবার-বান্ধব গন্তব্যগুলির মধ্যে একটি অমর কুটির ইকো ট্যুরিজম পার্ক। মনোরম এবং শান্ত পরিবেশ। কোপাই নদীর তীরে অবস্থিত। পরিচ্ছন্ন ও সু-পরিচালিত পার্কটি প্রচুর সবুজ বনে ঘেরা। রয়েছে নানারকমের গাছ। ফোটে রংবেরঙের ফুল। তাকালেই চোখের আরাম। বর্ষায় প্রকৃতি অপরূপ সাজে সেজে ওঠে। অমর কুটির ইকো ট্যুরিজম পার্কে রয়েছে প্রচুর পার্কিং স্পেস। তাই সহজেই লং ড্রাইভের জন্য বের হয়ে পার্কে যাওয়া যায়। পার্কটি প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালকে ভোটে লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ মুখ্যমন্ত্রীর, তোপ দাগলেন উপাচার্য বিল নিয়েও
কীভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে বীরভূমের দূরত্ব প্রায় ১৮৯ কিলোমিটার। শিয়ালদহ কিংবা হাওড়া থেকে বোলপুর শান্তিনিকেতন কিংবা রামপুহাটে যাওয়ার ট্রেন পাওয়া যায়। অন্যদিকে, ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বর্ধমান ও অজয় নদ পেরিয়ে গাড়িতেও পৌঁছে যাওয়া যায় বীরভূমে।
কোথায় থাকবেন?
অমর কুটির ইকো ট্যুরিজম পার্কের কাছাকাছি আছে হোটেল। যদিও সংখ্যায় কম। থাকা যায় বোলপুর শান্তিনিকেতনেও। থাকার পাশাপাশি খাওয়ার কোনও অসুবিধা হবে না।
আরও পড়ুন-বিজেপির খাপ-পঞ্চায়েত লাথি-ওঠবোস ঝাড়খণ্ডে
বাগনান মা-মাটি-মানুষ উদ্যান
হাওড়া জেলার বাগনান। বাগনানের আন্টিলা ও বৈদ্যনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আড়াই বছর আগে গড়ে উঠেছে ইকো ট্যুরিজম পার্ক। নাম মা-মাটি-মানুষ উদ্যান। এই বিনোদন পার্কটির পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে মেদিনীপুর ক্যানেল। পশ্চিমে রূপনারায়ণ এবং পূর্বে দামোদর নদ। ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির কাছে এই পার্ককে আকর্ষণীয় করে তুলতে মেদিনীপুর ক্যানেলের উপর চার কামরা যুক্ত কাঠের অত্যাধুনিক ঝুলন্ত কটেজ তৈরি করা হয়েছে। আছে রাত্রিবাসের ব্যবস্থা। পার্কের শোভা বাড়িয়েছে রংবেরঙের ফুল ও ফলের গাছ। শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে সিমেন্টের ডাইনোসর, পাখি সহ বিভিন্ন মডেল।
আরও পড়ুন-অনাস্থা ভোটে জেতার অর্থ দেশের আস্থা অর্জন নয়
কীভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে বাগনান। সেখান থেকে বাস অথবা গাড়িতে যাওয়া বাগনানের এই ইকো ট্যুরিজম পার্কে। নামতে হয় বাঁটুল, আন্টিলা অথবা বৈদ্যনাথপুরে।
কোথায় থাকবেন?
আছে কটেজ। দূরের মানুষরা হাওড়া অথবা সাঁতরাগাছিতেও থাকতে পারেন। থাকা যায় বাগনানেও। খাওয়া-দাওয়ার কোনও অসুবিধা হবে না।