বাবরি ও গোধরা : সব মামলা বন্ধের ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের

আবেদনগুলিতে গোধরা পরবর্তী দাঙ্গার ক্ষেত্রে পরবর্তী দাবি জানানো হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, এখন এই সব বিষয়ে শুনানি অর্থহীন।

Must read

প্রতিবেদন : বাবরি মসজিদ ধ্বংস এবং গোধরা মামলা নিয়ে আর না এগনোর কথা ঘোষণা করল শীর্ষ আদালত। এই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে যে সমস্ত পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল, সেগুলি নিষ্পত্তি করে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল আদালত। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট একযোগে গুজরাত দাঙ্গা সম্পর্কিত ১১টি আবেদনের নিষ্পত্তি করেছে। এই আবেদনগুলি ২০০২-০৩ সাল থেকে বিচারাধীন ছিল।

আরও পড়ুন-সরকার বাঁচাতে বিধায়কদের ছত্তিশগড় পাঠালেন সোরেন

আবেদনগুলিতে গোধরা পরবর্তী দাঙ্গার ক্ষেত্রে পরবর্তী দাবি জানানো হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, এখন এই সব বিষয়ে শুনানি অর্থহীন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট ও বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালার বেঞ্চের বক্তব্য, যেহেতু সব মামলার ফয়সালা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে তাই নতুন করে এই আবেদনগুলির শুনানির প্রয়োজন নেই। ফলে মামলাগুলি নিষ্পত্তিমূলক বলে খারিজ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে আদালতের বক্তব্য, নরোদা গ্রামের বিষয়ে বিচার আইন অনুযায়ী শেষ করা হবে এবং আদালত নিযুক্ত বিশেষ তদন্তকারী দল আইন অনুসারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারবে।

আরও পড়ুন-প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ দখল, নিহত ৩০

অন্যদিকে, সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, ২০১৯ সালে বাবরি মসজিদ মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হয়েছে। সেই রায়ের প্রেক্ষিতে অন্য মামলাগুলির কোনও অর্থ হয় না। অন্যদিকে গোধরা পরবর্তী সাম্প্রদায়িক অশান্তিকে কেন্দ্র করে যে সমস্ত মামলা হয়েছিল, তার অধিকাংশেরই তদন্ত শেষ করেছে বিশেষ তদন্তকারী দল। তাই ওই সব মামলার বিচার চালিয়ে যাওয়ার আর দরকার নেই। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কাউল, বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি বিক্রমনাথের বেঞ্চ বলে, রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলায় চূড়ান্ত রায় ঘোষণার পর আড়াই বছরেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। তাই আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলাগুলি ভিত্তিহীন।

আরও পড়ুন-লাদাখে ভারতীয় মেষপালকদের হেনস্তা লালফৌজের

তাই নতুন করে বিচার করার আর কোনও প্রয়োজন নেই। একই মামলা বারবার বিচার করার অর্থ মৃত ঘোড়াকে টেনে নিয়ে যাওয়া। আবেদনকারীদের অনেকেই মারা গিয়েছেন। সবমিলিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মামলাগুলি বন্ধ করে দেওয়াই ভাল। তবে সমাজকর্মী তিস্তা শীতলাবাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত চলবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার পর ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে তিস্তার বিরুদ্ধে। গত জুন মাসে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কিছুদিন আগে তিস্তার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ ঘিরে গুজরাত সরকারের বক্তব্য জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। সেই বিষয়ে গুজরাত সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এদিন জানান, তিস্তার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। খুব শীঘ্রই তদন্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হবে।

Latest article