প্রতিবেদন : সোমবার সন্ধ্যায় হঠাৎ বিজেপির রাজ্য বিজেপির পদ থেকে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দায়িত্বে আনা হয় বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে। বাবুল তৃণমূলে যোগ দেওয়ার মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেওয়ার মধ্যে কোনও সম্পর্ক আদৌ রয়েছে? সদ্য বিজেপি-ত্যাগী বাবুল সুপ্রিয় এই ঘটনায় বিশেষ মন্তব্য করতে না চাইলেও দিলীপ ঘোষকে ছোট্ট করে খোঁচা দিতে অবশ্য ছাড়লেন না। সেই সুযোগটি অবশ্য দিলীপ ঘোষ নিজেই বাবুলের হাতে তুলে দিয়েছেন।
এদিন বাবুল বলেন, “দিলীপ ঘোষের পদ চলে যাওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। বিজেপির সংগঠনে কাকে নিয়ে আসবে আর কাকে সরিয়ে দেব তা ওদের ব্যাপার। এনিয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই। তবে দিলীপদা বাংলার জন্য অনেক খেটেছেন। এখন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হিসেবে ভালো কাজ করুন, সুখে থাকুন। আর সুকান্ত মজুমদারকে আমার শুভেচ্ছা জানাব।”
আরও পড়ুন : মমতায় আপ্লুত বাবুল, তৈরি মাঠে নামার জন্য
এরপরই খোঁচা দেন বাবুল। দিলীপ ঘোষ নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘ভারতীয় নতুন রাজ্য সভাপতি’ । ‘জনতা পার্টি’ কথাটি লেখা ছিল না। যা বাবুলের চোখ এড়িয়ে যায়নি। আর সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরেই দিলীপ ঘোষকে খোঁচা বাবুলের। তিনি বলেন, “মজা করে বলতে পারি, দিলীপদা সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভারতীয় নতুন রাজ্য সভাপতি’ লিখেছেন। এটা লেখার কী মানে বুঝলাম না। হয়তো আমার পাঠানো বর্ণপরিচয়টা এবার ওনার কাজে লাগবে।” যদিও পরে দিলীপ ঘোষ পরে তাঁর পোস্ট সংশোধন করে নেন।