চিত্তরঞ্জন খাঁড়া: উদ্বেগ কাটিয়ে ডার্বির আগেই আইএসএলের প্লে-অফ নিশ্চিত করল মোহনবাগান। কার্ল ম্যাকহিউয়ের জোড়া গোলে শনিবার যুবভারতীতে কেরালা ব্লাস্টার্সকে ২-১ গোলে হারাল জুয়ান ফেরান্দোর দল। বেঁচে থাকল সবুজ-মেরুনের খেতাব জয়ের স্বপ্নও। কেরলের বিরুদ্ধে অপরাজিত থাকার রেকর্ডও অক্ষত থাকল মোহনবাগানের।
আরও পড়ুন-কেরলে কুস্তি, ত্রিপুরা-বাংলায় দোস্তি
দুই বিদেশি হুগো বুমোস, ম্যাকহিউকে এদিন খেলান বাগানের স্প্যানিশ কোচ। হুগোকে আনফিট মনে হলেও চোট সারিয়ে ফিরেই দুর্দান্ত দু’টি গোল করে মোহনবাগানকে প্লে-অফে তুলে দিলেন ম্যাকহিউ। তিন ম্যাচ পর জয়ে ফিরে ১৯ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে মোহনবাগান লিগ টেবলে উঠে এল তিন নম্বরে। শেষ ম্যাচ ডার্বি। সেই ম্যাচে পয়েন্ট হারালেও লিগে প্রথম ছয়ের বাইরে যাবে না জুয়ানের দল। তবে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে তিন নম্বরে থেকেই প্লে-অফ খেলতে চায় মোহনবাগান।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
গোটা ম্যাচে আধিপত্য নিয়ে খেললেও প্রচুর ভুল করল মোহনবাগান। মিস পাস হল অনেক। একাধিক সুযোগ তৈরি করেও তা কাজে লাগাতে পারলেন না আশিক কুরুনিয়ন, বুমোস, দিমিত্রি পেত্রাতোসরা। মনবীর সিংয়ের হেড পোস্টে লেগে ফিরল। তবু মোহনবাগানের জিততে অসুবিধা হল না ম্যাকহিউয়ের দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ের জন্য।
আরও পড়ুন-আজ সাগরদিঘিতে অভিষেক, তার আগেই কংগ্রেসে ভাঙন, বহু নেতা-কর্মী তৃণমূলে
খেলার শুরুতেই আশিক, বুমোস পরপর সুযোগ নষ্ট করেন। কিন্তু বাগানের নড়বড়ে রক্ষণের সুযোগ নিয়ে ১৬ মিনিটে এগিয়ে যায় কেরল। গোলদাতা গ্রিক ফরোয়ার্ড দিয়ামানতাকোস দিমিত্রিওস। তবে কেরলের উৎসব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। খেলার ২৩ মিনিটে গোল শোধ করে দেয় মোহনবাগান। দিমিত্রির সেন্টার থেকে হেডে অনবদ্য গোল করেন ম্যাকহিউ। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে প্রথমার্ধের খেলা ১-১ গোলে শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগান অনেক সংগঠিত ফুটবল খেলেছে। আক্রমণে মনবীর, দিমিত্রি, কার্ল, আশিকরা সারাক্ষণ কেরল রক্ষণকে ব্যস্ত রাখেন। ৫২ মিনিটে দিমিত্রির সেন্টার থেকে মনবীরের হেড পোস্টে লেগে প্রতিহত না হলে তখনই এগিয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। এর পর আশিক আরও একটি সুযোগ নষ্ট করেন। ৬৪ মিনিটে রাহুল কেপি লাল কার্ড দেখায় ১০ জন হয়ে যায় কেরল। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে মোহনবাগান ২-১ গোলে এগিয়ে যায়। তবে দুর্দান্ত গোল করেন ম্যাকহিউ। ৭১ মিনিটে আশিস রাইয়ের সেন্টার মনবীর নামিয়ে দিলে বাঁ-পায়ের আউটস্টেপে জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন বাগানের আইরিশ মিডিও। বাকি সময়ে রক্ষণ জমাট রেখে লিড ধরে রেখে জয় নিশ্চিত করে সবুজ-মেরুন।