কেরলে কুস্তি, ত্রিপুরা-বাংলায় দোস্তি

সাক্ষাৎকারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের পছন্দের রাজনীতিবিদ, বই, গান, অভিনেতা— এই ধরনের বিভিন্ন ব্যক্তিগত নানা পছন্দের কথা খোলাখুলি জানিয়েছেন

Must read

প্রতিবেদন : ২০২৪ সাল কেন, এখন লোকসভা নির্বাচন হলেও তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি। একবছর আগে লোকসভা ভোট করালে করাক। আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মেঘালয়ে প্রচারের ফাঁকেই দুটি জাতীয় টেলিভিশনকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। সেখানেই উঠে এসেছে রাজ্য ও দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। বিভিন্ন বিষয়ে নিজের স্পষ্ট মতামত জানিয়েছেন অভিষেক। তুলোধোনা করেছেন বিজেপিকে। প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসের ভূমিকা ও আদর্শ নিয়েও। সাক্ষাৎকারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের পছন্দের রাজনীতিবিদ, বই, গান, অভিনেতা— এই ধরনের বিভিন্ন ব্যক্তিগত নানা পছন্দের কথা খোলাখুলি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি : ২০২৪ সাল নয়, একবছর আগে অর্থাৎ এখনই যদি লোকসভা নির্বাচন হয় তাহলেও তৈরি তৃণমূল কংগ্রেস। জেতার ব্যাপারে এতটাই আত্মবিশ্বাসী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই বিজেপিকে আটকাতে পেরেছে৷ কংগ্রেস বা অন্যরা পারেনি।
বিজেপির সঙ্গে আপস নয় : কোনও মূল্যেই যে বিজেপির সঙ্গে আপস নয় তা স্পষ্ট করে দিয়ে অভিষেক বলেন, যদি আপসই হত তবে আমার এবং আমার দলের লোকের পিছনে ইডি-সিবিআই পড়ে থাকত না। যারা বিজেপির সঙ্গে লড়তে পারে না তারাই এটাকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করে। বাংলায় রোজ ইডি-সিবিআই হানা হয়। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে ক’টা ইডি-সিবিআই হানা হয়? আমি তো বলতেই পারি কংগ্রেসের সঙ্গে ডিল হয়েছে। সাফ কথা অভিষেকের।

আরও পড়ুন-২০০ কোটির বৃত্তি কেলেঙ্কারিতে বেশরম যোগী

কংগ্রেসের আদর্শ কী : কংগ্রেসের আদর্শ কী জানতে চাই। কেরলে ওরা সিপিএমের সঙ্গে লড়াই করছে। আবার ত্রিপুরা ও বাংলায় সিপিএমের সঙ্গে জোট। এর মানে কী? দ্বিচারিতা না করে আগে কংগ্রেস নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করুক আগে।
তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক : তৃণমূল যদি বিজেপির বি টিম হতো তাহলে মোদি-অমিত শাহকে তৃণমূল যেভাবে আক্রমণ করেছে তা করত না। বিজেপি-শাসিত রাজ্যেই আমরা গিয়েছি। কংগ্রেস রাজ্যে যাইনি। স্পষ্ট কথা অভিষেকের।
অন্য রাজ্যেও তৃণমূল : বাংলার বাইরে ত্রিপুরা-গোয়া-মেঘালয়-অসমে তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠন করেছে। গোয়ায় ১০ শতাংশ ভোট রয়েছে আমাদের৷ ত্রিপুরায় সর্বশক্তি দিয়ে লড়েছি। আগামী দিনেও এ লড়াই চলবে। আমরা এসব জায়গায় শূন্য থেকে শুরু করেছি। আমাদের হারানোর কিছু নেই। আর মেঘালয়ে আমরা সরকার গড়ব। সেখানে একক বৃহত্তম দল হবে তৃণমূল কংগ্রেস।

আরও পড়ুন-আজ সাগরদিঘিতে অভিষেক, তার আগেই কংগ্রেসে ভাঙন, বহু নেতা-কর্মী তৃণমূলে

প্রসঙ্গ লোকসভা : ২০২৪-এ কার কী ভূমিকা হবে তা জনগণ ঠিক করবে। এটুকু বলতে পারি এখনই ভোট হলে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি। আর নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী গোটা দেশে। তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক ইস্যুতে কথা বলে।
প্রসঙ্গ দুর্নীতি : দুর্নীতির প্রশ্নে জিরো টলারেন্স নীতি দলের। যারা এরকম করেছে তাদের আমরা সরিয়ে দিয়েছি। আইন আইনের পথে চলবে। কিন্তু দুর্নীতি করে বিজেপিতে গেলেই সাধুপুরুষ। সে তখন ওয়াশিং মেশিনে পরিষ্কার। কাউকে দেখা গেছে ক্যামেরার সামনে হাত পেতে টাকা নিতে। তাদের বিরুদ্ধে তো কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কারণ সে বিজেপিতে আছে। তবে ধমকে চমকে তৃণমূল কংগ্রেস বা আমাকে আটকানো যাবে না। শিরদাঁড়া সোজা রেখে মাথা উঁচু করেই তৃণমূল কংগ্রেস লড়বে।

আরও পড়ুন-চৈতন্যের আলো

দল বড় করাই আমার কাজ : ২০১২-এর জুন মাসে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার দুদিন পর একটি সাংবাদিক বৈঠক করে আমি জানিয়ে দিয়েছিলাম, বিভিন্ন রাজ্যে দলকে বিস্তার করব। সংগঠন বাড়ানোর দিকে আমি নজর দিয়েছি। তাই করব। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বাসনা আমার নেই।

Latest article