প্রতিবেদন : রামনবমীর অনুষ্ঠানে দেশের কয়েকটি রাজ্যের পাশাপাশি বিহারেরও বেশ কিছু জায়গায় হিংসা ছড়ায়। সাম্প্রদায়িক হিংসার উসকানি দিয়ে বিজেপি মেরুকরণের ফায়দা লুঠতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এবার পুলিশি তদন্তেও উঠে এল পরিকল্পিতভাবে হিংসা ছড়িয়েছিল গেরুয়া শিবিরের প্ররোচনায়।
আরও পড়ুন-দেশে রেকর্ড বেকারত্ব মোদিকে তির দলের
প্রাথমিক তদন্তের পর বিহার পুলিশের দাবি, রামনবমীতে অশান্তি বাধানোর পিছনে ছিল দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনার মূল চক্রী ছিলেন বিহারের নালন্দা জেলার বজরং দলের আহ্বায়ক কুন্দন কুমার। পুলিশ মনে করছে, রামনবমীর অনেক আগে থেকেই এই অশান্তি ঘটানোর ছক কষা হয়েছিল। পরিকল্পিতভাবে হিংসা ছড়িয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে টার্গেট করার পরিকল্পনা নিয়েছিল বজরং দল।
আরও পড়ুন-জার্ভিসকে আড়াল করছেন স্টিফেন
বিহার পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল (এডিজি) জিতেন্দ্র সিংহ গাওয়ার জানিয়েছেন, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে হিংসা ছড়ানোর ছক কষেছিল বজরং দলের নেতা অভিযুক্ত কুন্দন কুমার। ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রয়েছেন মোট ৪৫৬ জন সদস্য। রামনবমীর কিছু দিন আগেই গ্রুপটি খোলা হয়েছিল। এই গ্রুপের অ্যাডমিন হলেন কুন্দন। এডিজি আরও জানিয়েছেন, দাঙ্গায় মদত দেওয়ার অভিযোগে নালন্দার বজরং দলের আহ্বায়ক কুন্দনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-অবহেলার শিকার প্রাক্তন হকি তারকা
পাশাপাশি কিষান কুমার নামে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের আরও এক অ্যাডমিন আত্মসমর্পণ করেছেন। জানা যায়, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে নিয়মিত নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ভুয়ো প্রচার চালানো হচ্ছিল। ভুয়ো ভিডিও ছড়িয়ে মানুষকে উসকানি দিয়ে খেপিয়ে তোলার চেষ্টা হয়। নালন্দায় হিংসার ঘটনায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জন ধৃত। আত্মসমর্পণ করে ২ জন। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ৩১ মার্চ বিহারশরিফে অশান্তির জেরে প্রাণ হারান এক তরুণ। আহত হন অনেকে। বিহারের রোহতাস জেলাতেও অশান্তি ছড়িয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এই বিস্ফোরক তথ্য হাতে পেল বিহার পুলিশ। একইভাবে বাংলা ও উত্তরপ্রদেশেও হিংসা ছড়ানোর পিছনে গেরুয়া শিবির, ইতিমধ্যেই তা উঠে এসেছে।