সম্প্রতি দেশের চালের দাম লাফিয়ে বাড়ছিল। সেই পরিস্থিতিতে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মোদি সরকার। ২০ জুলাই কেন্দ্রীয় সরকার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাসমতী ছাড়া অন্যান্য সব চাল রফতানি আপাতত বন্ধ থাকবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, ভারত চাল রফতানি বন্ধ করায় বিশ্বব্যাপী খাদ্যসঙ্কট তৈরি হতে পারে।
আরও পড়ুন-যমুনাতে জালে ডলফিন, রান্না করে খাওয়ায় মৎস্যজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ
এই পরিস্থিতিতে আইএমএফের শীর্ষ আধিকারিক পিয়েরে অলিভিয়ের গৌরিঞ্চাস বলেছেন, ভারতকে আমরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করব। অন্যথায় গোটা বিশ্বে এর খারাপ প্রভাব পড়বে। আর্থিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডার পাশাপাশি পূর্ব ইউরোপের দেশগুলিতেও এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে। প্রভাব পড়বে মধ্য প্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরশাহি বা সৌদি আরবের মতো দেশেও।
আরও পড়ুন-বন্দে ভারতে রুটিতে আরশোলা, জরিমানার মুখে সংস্থা
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক বাজারে ৯০ শতাংশ চাল রফতানি করে থাকে ভারত-সহ এশিয়ার দেশগুলি। বিশ্ব বাজারে ভারত একাই ৪০ শতাংশ চাল রফতানি করে। কমবেশি ১০০টি দেশ ভারতীয় চালের ক্রেতা। ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি চাল যায় চিন, সেনেগাল ও টোগোয়। ভারতের এই সিদ্ধান্তের ফলে ৮০ শতাংশ চাল রফতানি আটকে গিয়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগে পড়েছে আইএমএফ। ভারত থেকে চাল রফতানি বন্ধ হওয়ায় বিপাকে প্রবাসী ভারতীয়রাও।