সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায়: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ মডেল এবার চালু হচ্ছে বাংলাদেশে। কীভাবে এই রাজ্যে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ থেকে ‘এক জানালা’ পদ্ধতির মাধ্যমে সমস্ত সরকারি পরিষেবা বিনামূল্যে নাগরিকদের পৌঁছে দেওয়া তা সরেজমিনে ঘুরে দেখলেন বাংলাদেশ সরকারের ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। হাওড়া জেলাশাসকের কার্যালয় ও ডোমজুড় ব্লকে গিয়ে তাঁরা কীভাবে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে সরাসরি সমস্ত সরকারি পরিষেবা নাগরিকদের পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করেন।
আরও পড়ুন-চাকরি বাতিলের তালিকায় বিরোধীদের নাম বাড়ছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে সিপিএম-বিজেপি
সেইসঙ্গে এই সংক্রান্ত টেকনিক্যাল বিষয়গুলিও বুঝে নেন তাঁরা। যেভাবে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে রাজ্যের প্রতিটি গ্রামাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকাতেও সমস্ত সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে তা দেখে অভিভূত হয়ে পড়েন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনায় রাজ্যের প্রতিটি অঞ্চলে গড়ে উঠেছে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র। সেখান থেকে এলাকার বাসিন্দারা সমস্ত সরকারি পরিষেবা বিনামূল্যে পেয়ে থাকেন। কীভাবে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও সম্পূর্ণ নিখরচায় বাংলা সহায়তা কেন্দ্রর মাধ্যমে এই রাজ্যের মানুষ সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন তার খুঁটিনাটি বুঝতেই হাওড়া আসেন বাংলাদেশের ওই দলটি।
আরও পড়ুন-বিশ্বের ৫০টি সর্বাধিক দূষিত শহরের মধ্যে ৩৯টি ভারতে
প্রথমে তাঁরা ডোমজুড় ব্লক ও পরে হাওড়ায় জেলাশাসকের কার্যালয়ে এসে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। সেখানে জেলা প্রশাসনের কর্তারা তাঁদের পুরো বিষয়টি কীভাবে চলছে তা বুঝিয়ে দেন। প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য ও বাংলাদেশ সরকারের ডিজিট্যাল ফিনান্সের কর্মী তহরুল হাসান জানান, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের ধাঁচে আমাদের দেশেও পরিষেবা চালু করা হবে। কীভাবে এই রাজ্যে কাজ চলছে তা আমরা ঘুরে দেখলাম। কারিগরি বিষয়ও দেখা হল। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে একটি কেন্দ্র থেকে সিঙ্গল উইন্ডো ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিকদের কাছে সমস্ত সরকারি পরিষেবা দ্রুত পৌঁছে দিতে পারি তা জানতেই আমাদের এখানে আসা। এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় হল। শীঘ্রই বাংলাদেশে আমরা এই ব্যবস্থা চালু করার পদক্ষেপ নেব।’’
আরও পড়ুন-ব্যাঙ্ক বিপর্যয়ের দায় ট্রাম্পের, দাবি বাইডেনের
এই ব্যাপারে হাওড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) সৌমেন রায় জানান, ‘‘বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সদস্যদের পুরো বিষয়টি বিস্তারিতভাবে বোঝানো হয়েছে। একটি কেন্দ্র থেকে এক জানালা পদ্ধতির মাধ্যমে সমস্ত সরকারি পরিষেবা বিনামূল্যে কীভাবে সরকারি পরিষেবা মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে তা আমরা বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের বুঝিয়ে দিয়েছি। এই সংক্রান্ত টেকনিক্যাল বিষয়গুলিও তাঁদের ভালভাবে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ উল্লেখ্য, রাজ্যে এই মুহূর্তে ৪ কোটি ৭০ লাখ মানুষ বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি পরিষেবা পেয়েছেন। যা দেখে অভিভূত হয়ে পড়েন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। শীঘ্রই বাংলাদেশে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে তাঁরা জানান।