প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় সরকারের কায়াকল্প প্রকল্পের আওতায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও রোগী বান্ধব পরিবেশের জন্য কলকাতার এম আর বাঙুর হাসপাতাল এবং শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল যুগ্মভাবে রাজ্যের সেরা সরকারি হাসপাতাল হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে। এই নিয়ে পরপর দু’বছর ওই হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে সেরা বলে বিবেচিত হল। সামগ্রিক পরিচ্ছন্নতা, পরিষেবার মান সহ আটটি বিষয়ের নিরিখে এই স্বীকৃতি বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল এবং সিউড়ি সদর হাসপাতাল যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান পেয়েছে।
আরও পড়ুন-বিমানবন্দরে নিরাপত্তা বেসরকারি হাতে, সিআইএসএফের ৩ হাজার পদ বিলুপ্তি
এপ্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতালকে উন্নততর পরিষেবা প্রদানের উপযুক্ত করে তুলতে রাজ্য সরকার বদ্ধপরিকর। এধরনের প্রকল্প হাসপাতাল গুলিকে আরও ভালভাবে কাজ করতে উত্সাহিত করবে। প্রথম স্থানাধিকারী হাসপাতাল ৫০ লক্ষ টাকা এবং বাকি হাসপাতালগুলি ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কার পাবে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, প্রতি বছর প্রাথমিক থেকে জেলা স্তরের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, বর্জ্য-ব্যবস্থাপনা, পরিচ্ছন্নতা, রোগীদের স্বাচ্ছন্দ্য, ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট, রোগীর পরিজনদের সন্তুষ্ট হওয়ার মতো আটটি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি কয়েকটি ধাপে খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
আরও পড়ুন-চলতি মাসে বিধানসভায় আসছে একাধিক বিল
প্রায় ছ’মাস ধরে স্বাস্থ্যকর্তা ও বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞেরা বিষয়গুলি সমীক্ষার মাধ্যমে খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করেন। স্বাস্থ্য-অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, “বিভিন্ন ক্যাটেগরির নম্বর দেখেই চূড়ান্ত ফলাফল তৈরি করা হয়।’’ তিনি জানাচ্ছেন, তাতেই দেখা যাচ্ছে, পরপর দু’বছর প্রথম স্থানে রয়েছে এম আর বাঙুর। তবে এবার সেই স্থানে যুগ্মভাবে উঠে এসেছে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালও। তার পরেই রয়েছে জলপাইগুড়ি ও সিউড়ির হাসপাতাল।