সংবাদদাতা, বাঁকুড়া : বেশ কয়েক মাস যাবৎ একপাল হাতির ভয়ে রীতিমতো কাঁপছে জেলার বেশ কিছু অঞ্চল। দামাল দাঁতালদের বেশ বড়সড় একটি দল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জেলার জঙ্গল লাগোয়া লোকালয়। এই দলটিতে মোট ৫৬টি ছোট-বড় দাঁতাল রয়েছে বলে খবর। খাবারের খোঁজে প্রায়শই এরা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে দল বেঁধে ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। যখন-তখন জমিতে হানা দিয়ে ফসলের খেত লন্ডভন্ড করে চলে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই প্রাথমিকে শুরু শিক্ষক নিয়োগ
এভাবে দিন দিন মানুষের কষ্টার্জিত সাধের ফসলের বারোটা বাজাচ্ছে তারা। আচমকা গৃহস্থের বাড়ি ঢুকে পড়ে তাদের ভাঁড়ারের সর্বস্ব সাফ করে ফিরে যাচ্ছে। বাঁকুড়ার সোনামুখী, পাত্রসায়ের, বেলিয়াতোড় প্রভৃতি এলাকার মানুষ হাতির হামলার ভয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত, দিশাহারা। মাঝে দেখা গিয়েছে দাঁতালের দলবল বন থেকে লোকালয়ে তাদের আনাগোনার পথ আটকে বিশাল শরীর নিয়ে স্থানুবৎ দাঁড়িয়ে। কোথাও গ্রামের চলার পথ, মাঠঘাটে মূর্তিমানের মতো হাজির তারা। এমনকী জাতীয় সড়ক পর্যন্ত রুখে দিয়েছে দলের কোনও এক সদস্য। অবরুদ্ধ যান চলাচল। মাঝে কিছুদিন এই হাতির দলটি চলে গিয়েছিল বর্ধমানের দিকে। ফের সেখান থেকে বাঁকুড়ায় ফিরে এসে সোনামুখীতে এক বৃদ্ধাকে খুন করে এখন বড়জোড়ার জঙ্গল দাপিয়ে চলেছে তারা। ফলে আশপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের আতঙ্ক কিছুতেই কাটছে না। হাতিদের জঙ্গলের পথে তাড়াতে হিমশিম বনকর্মীরাও। যদিও বন দফতর পরিস্থিতির দিকে সতর্ক নজর রাখায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগ। হাতির এই দল শহরে যাতে না ঢোকে তার জন্য নজরদারি চালাচ্ছে বনদফতর।