সংবাদদাতা, মগরাহাট : তিনি একসময় ছাত্র পড়িয়েছেন। এখনও অনলাইনে কোচিং করান। তাই ক্লাসরুম আর পড়ুয়া পেয়ে নিলেন ক্লাস। তাঁর পড়ানোয় খুশি পড়ুয়া থেকে স্কুলের শিক্ষকরাও। ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে নবম থেকে দ্বাদশের পড়ুয়াদের পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে মগরাহাটের হাঁসুড়ি হাইস্কুলের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে যান মগরাহাট ২ নম্বর ব্লকের বিডিও আব্দুল্লা শেখ। আর তার ফাঁকে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়ালেন বিজ্ঞান। প্রধান শিক্ষক রণজিৎ হালদার তাঁকে স্কুলের পরিকাঠামো ঘুরিয়ে দেখান। কোভিড বিধি মেনে চলা ও ছাত্র-ছাত্রীদের পঠনপাঠনের বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করেন বিডিও।
আরও পড়ুন : নিয়ন্ত্রণে করোনা, কমছে হাসপাতালের বেড, সেফ হোম
এরপর বিডিও যান একাদশ শ্রেণির ক্লাসরুমে। ভাইরাস ও আবহাওয়ার পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে ছোট্ট একটি সচেতনতামূলক ক্লাস নেন তিনি। ২০১৬ সালে বিডিও কেন্দ্রীয় সরকারের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচার রিসার্চের (আইএসইআর) চাকরি ছেড়ে বীরভূম জেলার সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের বিডিও পদে যোগ দেন। সিউড়ি-২ ব্লকে প্রায় দু’বছরের বেশি সময় ধরে বিডিও পদে থাকার পর গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে মগরাহাট-২ ব্লকের বিডিও পদে যোগ দেন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি একটি অনলাইন কোচিং ক্লাস চালান। প্রায় হাজারের কাছাকাছি ছাত্রছাত্রীকে অনলাইনে পড়িয়েছেন তিনি। ফলে পড়ানোর নেশা তাঁর ছিলই। বিডিও আবদুল্লা শেখ বলেন, ‘পড়ানো আমার নেশা। স্কুল আর পড়ুয়া পেয়ে তাই একটু ঝালিয়ে নিলাম। সবাই খুব ভাল। পড়ুয়াদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।’ প্রধান শিক্ষক রণজিৎ হালদার বলেন, ‘বিডিও এসেছিলেন পরিদর্শনে। এসে ক্লাস দেখতে গিয়ে পড়িয়েছেন। আমরা কৃতজ্ঞ। এই অতিমারির মধ্যে ক্লাস নিয়ে শিক্ষকদেরও উৎসাহিত করলেন। স্কুলের সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।’