প্রতিবেদন : সতর্ক থাকুন, কিন্তু আতঙ্ক ছড়াবেন না। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister Mamata Banerjee) বললেন রাজ্যবাসীকে। একদিকে যেমন করোনা প্রতিরোধে রাজ্যবাসীকে বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এও বলেছেন, যদি প্রয়োজন হয় পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য সরকার আরও কড়া পদক্ষেপ করতে পারে। প্রশাসনিক কর্তা থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরাও পরপর আক্রান্ত হচ্ছেন। কলকাতার পুলিশ কমিশনার-সহ বেশ কয়েকজন পদস্থ কর্তার আক্রান্ত হওয়ার খবর দিয়ে বলেন, আগামী ১৫ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সীমান্তে কড়া সতর্কতা : আন্তঃরাজ্য সীমানায় কড়া মনোভাব রাজ্যের। মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister Mamata Banerjee) জানান, আন্তঃরাজ্য সীমানায় আরটিপিসিআর টেস্ট করতেই হবে। এ ব্যাপারে কোনওরকম গাছাড়া মনোভাব দেখানোর প্রশ্ন নেই। মুখ্যমন্ত্রী পাশাপাশি এও বলেন, রাজ্য জুড়ে পুলিশ কড়া মনোভাব দেখাচ্ছে। কোথাও আটক পর্যন্ত করা হচ্ছে। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, ধমক আর আটকে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায় না। মানুষকে সচেতন হতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ : মাস্ক পরতেই হবে। হাতে গ্লাভস। নইলে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। মেয়েরা চুল ঢাকুন। ছেলেরা টুপি পরুন। বাজারে ভিড় করবেন না, দূরত্ব বজায় রাখুন। বাজার থেকে ফিরে জামা-কাপড় বদলে হাত-পা ধুয়ে নিন। বাজার থেকে আনা জিনিস ধুয়ে রাখুন।
বাড়িতে আক্রান্ত থাকলে : বাড়ির একজন কেউ আক্রান্ত হলে বাকিরা আইসোলেশনে থাকুন। করোনা বিধি মেনে চলুন। চেষ্টা করুন অন্যদের থেকে দূরে থাকতে। এ প্রসঙ্গে, এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাইয়ের কথা বলেন। ভ্রাতৃবধূ করোনায় আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও ভাই বাইরে ঘুরে বেড়ানোয় প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, এ ধরনের কাজ বন্ধ করতে হবে। ওকে বারণ করে দিয়েছি। তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে ভুল খবর প্রসঙ্গে বলেন, কোভিড কি লুকিয়ে রাখার জিনিস? হলে সকলেই জানতে পারতেন। কিন্তু নবান্নে আসতে পারেননি তাঁর দুই গাড়ি চালক কোভিড আক্রান্ত হওয়ায়।
আরও পড়ুন-আক্রান্তদের ফলের ঝুড়ি পাঠিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
ওয়ার্ক ফ্রম হোম, টিকা : অফিসে নয়, বাড়ি থেকে কাজ করুন। আগামী কিছু দিন সকলকে সাবধানে থাকতে হবে। এই কারণে অসুবিধা থাকলেও সরকারি কাজের জন্য বৈঠকও অনলাইনে হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, কেন্দ্রের কাছ থেকে টিকা চেয়েছি। তাঁর স্পষ্ট কথা, দ্বিতীয় ডোজ শেষ না করে বুস্টার ডোজ দেওয়া উচিত হয়নি। এখনও ৪০ শতাংশ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া বাকি। সেই পরিস্থিতিতে ১৫-১৮ বছর বয়সিদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আবার ১০ জানুয়ারি থেকে বুস্টার ডোজ। ফলে টিকার দরকার। কেন্দ্র পাঠাক।
পজিটিভ খবর দরকার : ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যুর খবর প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে এই খবর জরুরি ছিল কি? নাকি ভিড় ট্রেনে উঠবেন না, কোভিড বিধি মেনে চলুন, তার প্রচার দরকার ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, কখনও কখনও ইতিবাচক খবর দরকার হয়। বৃহত্তর স্বার্থেই বেশি করে পজিটিভ খবরের প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান, এবার গঙ্গাসাগরে স্বেচ্ছাসেবক দিতে পারছে না ভারত সেবাশ্রম সংঘ।