প্রতিবেদন : ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ নিয়ে সমাজমাধ্যমে প্রচার বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। যেহেতু এই কর্মসূচি সাধারণ মানুষের জন্য তাই আরও বেশি করে এই কর্মসূচিকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হচ্ছে প্রশাসন। আর এখন মানুষ যেহেতু অনেক বেশি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় তাই সেখানেই এই কর্মসূচির প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের পরিকল্পনা রূপায়ণ ও নজরদারি এবং অভিযোগ সেল থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের। সেই চিঠিতেই বলে দেওয়া হয়েছে, সেই সূত্রেই জেলাশাসকদের চিঠি দেওয়া। চিঠিতে জেলাস্তরে এই কর্মসূচি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার বাড়াতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন-চাঁদনি চকে বহুতলে আগুন
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের জেলাশাসকদের সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে ফেসবুক, ইউটিউব, ট্যুইটার, ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি করে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ নিয়ে প্রচার করতে বলা হয়েছে। শনিবারই এই চিঠি সমস্ত জেলাশাসকের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ সংক্রান্ত যে পেজগুলি রয়েছে তারও প্রচার বাড়াতে। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে তৃণমূল। তারই অঙ্গ হিসাবে এবার ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ নিয়ে তুঙ্গে উঠছে প্রচার।
আরও পড়ুন-মন কি বাতে বেতন বন্ধের কথা কই? সরব বিরোধীরা
সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা শুনতে এর আগে ‘দিদিকে বলো’, ‘দিদির দূত’-এর মতো কর্মসূচি সাফল্যের সঙ্গে পালন করেছে তৃণমূল। তাতে লাভও হয়েছে। গত জুনে সেই পথে হেঁটেই আরও এক কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। নাম দেওয়া হয় ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’। এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন, ‘দিদিকে বলো’ দলের তরফে কর্মসূচি ছিল। কিন্তু ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। একই ধরনের পরিষেবা পাবেন মানুষ, তবে এটি একটি সরকারি পরিষেবা। বাংলার মানুষের যা সমস্যা সরাসরি ফোন করে জানাতে পারবেন তাঁকে। তার জন্য ৯১৩৭০৯১৩৭০ নম্বরও প্রকাশ করা হয়েছে আগেই। আগের মতোই এই কর্মসূচিও যে চূড়ান্ত সাফল্য পাবে তা নিয়েও আশাবাদী কর্তারা। এরই মধ্যে এই কর্মসূচিতে দারুণ সাড়া মিলেছে। অনেক মানুষ তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা জানাচ্ছেন। তার সুফলও মিলছে হাতে হাতে।