মন কি বাতে বেতন বন্ধের কথা কই? সরব বিরোধীরা

যদিও, ইসরোকে চন্দ্রযানের জন্য যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের কর্মীদের প্রাপ্য বকেয়া রয়েছে। তা নিয়ে মোদি যথারীতি নীরব।

Must read

প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে আবারও চন্দ্রযানের সাফল্য নিয়ে সরকারের প্রচার। বিরোধীদের অভিযোগ, চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যকে রাজনৈতিক মঞ্চে মোদির কৃতিত্ব হিসাবে দেখাতে চাইছে বিজেপি। মন কি বাতেও একই কৌশল নিলেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ ১৮ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না চন্দ্রযানের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীরা । চন্দ্রযানের সাফল্যের আলোচনায় বিরোধীরা এ-নিয়ে সংসদে সরব হয়েছিলেন।
সেপ্টেম্বরের শেষ রবিবার মন কি বাতে চন্দ্রযানের সাফল্য তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন-বিধানসভায় ধরাশায়ী, চব্বিশে আশ্চর্যজনক ফল

যদিও, ইসরোকে চন্দ্রযানের জন্য যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের কর্মীদের প্রাপ্য বকেয়া রয়েছে। তা নিয়ে মোদি যথারীতি নীরব। প্রাপ্য অর্থ না পেয়ে পোশাক এবং অন্যান্য সামগ্রীর দোকান করতে বাধ্য হয়েছেন প্রায় ৩,০০০ কর্মী। পার্টটাইমে অটো রিকশা চালানো, দোকান দেওয়ার কাজ করছেন তাঁরা। প্রায় ১৮ মাসের বেশি সময় ধরে তাঁদের বেতন দেওয়া হয়নি। গত ২০ এবং ২১ সেপ্টেম্বর দিল্লির যন্তরমন্তরে প্রতিবাদী ধরনা দিয়েছেন সংস্থার কর্মীরা। এরপরও তাঁদের সমস্যার কোনও সমাধানসূত্র আসেনি কেন্দ্রের তরফে। বাধ্য হয়ে প্রভিডেন্ট ফান্ড-সহ বিভিন্ন আমানতের টাকা তুলে নিতে হয়েছে তাঁদের। অনেকে ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছেন। ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে রেডিমেড পোশাকের ব্যবসা শুরু করেছেন হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের কর্মী ধর্মেন্দ্রকুমার, সেই ছবি ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে। বিজেপি এবং মোদি সরকারের পক্ষ থেকে চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যকে বারবার তুলে ধরা হচ্ছে বিভিন্ন মঞ্চে।

আরও পড়ুন-পরিণীতি-রাঘবের চার হাত এক হল উদয়পুরে

অথচ প্রধানমন্ত্রী বা বিজেপি নেতাদের বক্তব্যে একবারও উঠে আসেনি কেন্দ্রের কাছ থেকে বকেয়া টাকা না পেয়ে দিন গুজরানের জন্য কীভাবে দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ইসরোকে চন্দ্রযানের জন্য যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের কর্মীদের এই দুরবস্থা নিয়ে ভ্রুক্ষেপ নেই মোদির। উল্লেখ্য, এইচইসি হল ভারতের সবচেয়ে পুরনো পাবলিক সেক্টর ইউনিট যা সমস্ত বড় ইস্পাত প্ল্যান্টে সরঞ্জাম সরবরাহ করে। বোকারো, ভিলাই, রৌরকেল্লা, বিশাখাপত্তনম এবং দুর্গাপুরের প্ল্যান্টগুলি-সহ ভারত জুড়ে বেশ কয়েকটি বড় ইস্পাত কারখানার বিকাশের পথ তৈরিতে সাহায্য করেছিল এই প্ল্যান্ট। এইচইসির তিনটি বিভাগ রয়েছে— হেভি মেশিন টুলস প্ল্যান্ট (এইচএমটিপি), হেভি মেশিন বিল্ডিং প্ল্যান্ট (এইচএমবিপি) এবং ফাউন্ড্রি ফোর্জ প্ল্যান্ট (এফএফপি) যা যৌথভাবে সরঞ্জাম তৈরি করে।

Latest article