প্রতিবেদন :প্রথমে ৩-০। এবার ৪-০। মুখরক্ষায় এখন বিজেপির নেতৃত্ব বলছে সন্ত্রাসের কথা। কিন্তু কমিশনকে তো একটি চিঠিও দেননি। ভোটে ধরাশায়ী হয়ে ফের মিথ্যাচার বিজেপির। গোসাবা ও খড়দহে রেকর্ড জয়। দিনহাটা ও শান্তিপুরে বিজেপি জেতা আসন হাতছাড়া করল। তৃণমূল প্রার্থীদের ব্যবধান বাড়ল বিপুল।
আরও পড়ুন : ধোনি সরতে চাইলেও ছাড়ছে না সিএসকে
খড়দহে রেকর্ড জয় শোভনদেবের
গণনা শেষ হতেই উড়ল সবুজ আবির। জয়ধ্বনি দিয়ে খড়দহের মানুষ বরণ করে নিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। ১,১৪,০৮৬ ভোট পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রত্যাশার জয় হল রেকর্ড ব্যবধানে। এদিকে বিজেপি সিপিএমের হারের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর অবশেষে জামানত বাজেয়াপ্ত। ২০,২৫৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি, সিপিএমের ঝুলিতে ১৬,১১০ ভোট। ভোটের দিন বিজেপি প্রার্থীর নাটক, প্ররোচনা ও তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণের যোগ্য জবাব দিল খড়দহবাসী। জয়ের রেকর্ড ব্যবধান বুঝিয়ে দিল খড়দহবাসী আছেন উন্নয়নের সঙ্গে। শোভনদেব বলেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা রেখেছেন। মানুষ উন্নয়নকে ভোট দিয়েছেন। আমার রাজনৈতিক জীবনে সব থেকে বেশি ভোটে জিতলাম খড়দহে। আমি খড়দবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ। এলাকার উন্নয়নের জন্য সপ্তাহে তিনদিন আমি এখানে থাকব। খড়দহের মানুষ আমাকে সবসময় পাশে পাবেন।’ বিজেপি ও সিপিএমের জামানত বাজেয়াপ্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওদের কর্মপদ্ধতির কারণেই আগামীতে ওরা নিঃশেষ হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন খড়দহের মানুষ আমার উপর আস্থা রেখেছেন, এবার খড়দহের সমস্যা সমাধানের মধ্যে দিয়ে আস্থা পূরণ শুরু করবো।’
আরও পড়ুন : গুয়াহাটিতে মুস্তাক আলি ট্রফি
গোসাবায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল বিজেপি
প্রত্যাশামাফিক গোসাবা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল বিপুল ভোটে জয়ী হলেন। জয়ী ১,৪৩,০৫১ ভোটে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির পলাশ রানা মাত্র ১৮,৪২৩ ভোট পেয়েছেন। বামফ্রন্টের প্রার্থী আরএসপির অনিল মণ্ডল আরও অনেক কম, মাত্র ৩,০৭৮। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল পেয়েছে ৮৭ শতাংশের বেশি ভোট। বিজেপির প্রাপ্ত ভোট মাত্র দশ শতাংশ। গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রয়াত জয়ন্ত নস্কর ২৩ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। জেলার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতেও, অতীতে কখনও এই জেলা থেকে এই মার্জিনে কেউ জয়ী হননি। এদিন গণনাকেন্দ্রের পাশেই ছিলেন তৃণমূলের সুন্দরবনের জেলা সভাপতি যোগরঞ্জন হালদার, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শওকত মোল্লা। রাজ্য সরকারের একাধিক সামাজিক প্রকল্পের জন্য মানুষ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেছেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক। সুন্দরবনের নদীবাঁধের সংস্কার ও পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে জোর দেওয়া হবে জানিয়েছেন সুব্রত মণ্ডল।