সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : আজ বাংলা নববর্ষ। কয়েক বছর আগেও এই সময় ক্যালেন্ডার, পঞ্জিকার দোকানে লেগে থাকত ক্রেতাদের ভিড়। হালখাতা করতে এলে দোকানিরা ক্রেতাদের হাতে দিতেন মিষ্টির প্যাকেট, সঙ্গে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের নাম লেখা বাংলা ক্যালেন্ডার। সারা বছর বাঙালির ঘরের দেওয়ালে টাঙানো সেই ক্যালেন্ডারেই দেখা হত ইদ, দুর্গাপুজো, মহরম, কালীপুজো, পূর্ণিমা-অমাবস্যা। ছোট হরফে থাকত গৃহপ্রবেশ, উপনয়নের শুভ দিনও। ইন্টারনেটের যুগে প্রায় সকলের হাতেই স্মার্টফোন।
আরও পড়ুন-অবাঙালি হয়েও যাঁরা বাঙালি
ফলে কমতে শুরু করেছে বাংলা ক্যালেন্ডারের চাহিদা। বড় কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর দৌলতে ইংরেজি নতুন বছরে ক্যালেন্ডারের চাহিদা অবশ্য আছে। রঘুনাথগঞ্জের ক্যালেন্ডার বিক্রেতা রমেশ দাস জানান, কয়েক বছর আগেও বাংলা নববর্ষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গণেশপুজোর পর ক্রেতাদের হাতে মিষ্টির প্যাকেট, বাংলা ক্যালেন্ডার দিতেন। কাগজ এবং রঙের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্যালেন্ডার তৈরির খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। তাই বিক্রির সংখ্যা কমছে। বহরমপুরের ক্যালেন্ডার বিক্রেতারা বলেন, নববর্ষের আগে কিছু দোকান থেকে বাংলা ক্যালেন্ডারের অর্ডার পাই। কিন্তু যে হারে চাহিদা কমছে, তাতে কয়েক বছরের মধ্যে বাংলা ক্যালেন্ডার তৈরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।