প্রতিবেদন : মহারাষ্ট্রের পুণে শহরে একটি বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল এক বাঙালি দম্পতির মৃতদেহ। ওই দম্পতি ছাড়া তাঁদের শিশুপুত্রের দেহও উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণ একটি সফটওয়্যার সংস্থায় চাকরি করতেন। পরে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। কী কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন, নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ।
আরও পড়ুন-মুখে কালো কাপড় বেঁধে সংসদের দুই কক্ষেই অভিনব প্রতিবাদ তৃণমূলের
মৃত তরুণের নাম সুদীপ্ত গঙ্গোপাধ্যায় (৪৪)। তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা এবং তাঁদের ৮ বছরের পুত্র তনিস্কের দেহ মিলেছে। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশের অনুমান, সুদীপ্ত প্রথমে স্ত্রী ও পুত্রকে খুন করেন। পরে নিজে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ওই ফ্ল্যাট থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। মৃত্যুর কারণ জানতে দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মৃত সুদীপ্তর এক ভাই থাকেন বেঙ্গালুরুতে।
আরও পড়ুন-এইচএসের অঙ্ক প্রশ্ন ফাঁস হয়ে গেল মহারাষ্ট্রে
বুধবার থেকে তিনি বারবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও দাদার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। তাই চিন্তিত হয়ে তিনি পুণের এক বন্ধুকে দাদার ফ্ল্যাটে যেতে বলেন। ওই বন্ধু সুদীপ্তর ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেন, দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। তিনি ছতুশ্রিঙ্গি থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে তিনজনের দেহ উদ্ধার করে। এর মধ্যে সুদীপ্তর স্ত্রী এবং তাঁর ছেলের মুখ ছিল প্লাস্টিকে মোড়া।