প্রতিবেদন : ফের কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অবহেলা। আর তার জেরে এবার পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে বাংলার অন্যতম প্রাচীন ‘ছট’ নৌকো। এক বছর আগে ভারত ও ব্রিটেনের যৌথ উদ্যোগে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল বাংলার ঐতিহ্যবাহী লুপ্তপ্রায় ছট নৌকো। হাওড়ার শ্যামপুর থানার ডিহিম্ডলঘাট এলাকার নৌকো শিল্পী পঞ্চাণন রায় ও তাঁর ছেলে অমল, মনিমোহন, দিলীপ ও দীপ মন্ডল ওই নৌকাটি তৈরি করেছিলেন। ৩৫ ফুট লম্বা, ৯ ফুট চওড়া ও ৮ ফুট গভীরতার এই ছট নৌকাটি গুজরাতের ন্যাশনাল মেরিটাইম মিউজিয়ামে রাখা হবে বলে স্থির হয়েছিল।
আরও পড়ুন-চুয়াড় বিদ্রোহের নায়ককে ঘিরে আদিবাসী মানুষদের উচ্ছ্বাস, শহিদ রঘুনাথ সিংয়ের পূর্ণাবয়ব মূর্তি বসল
সেই সঙ্গে নৌকোটি তৈরির তথ্য ও কৌশল ডিজিটাইজড আকারে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে রাখা থাকবে বলে ঠিক হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এই পরিকল্পনা কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি। রূপনারায়নের তীরে অযত্নে ও অবহেলায় পড়ে রয়েছে এই বাংলার ঐতিহ্যবাহী ছট নৌকোটি। সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অফ হরিয়ানা ও ইংল্যাণ্ডের এক্সেটারি ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে পুরো কাজটি হয়েছিল। এছাড়াও নৌকোটি তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিল ভারত সরকারের মিনিষ্ট্রি অফ কালচারের অ্যানথ্রোপলজিক্যাল বিভাগ।
আরও পড়ুন-এমবাপের জোড়া গোল
ওই দফতরের ভিজিটিং ফেলো অধ্যাপক স্বরূপ ভট্টাচার্য জানান, ‘গুজরাতের লোথালে ন্যাশনাল মেরিটাইম কর্তৃপক্ষ নৌকাটিকে নিজেদের মিউজিয়ামে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিল। কিন্তু তারা এখনও পর্যন্ত নৌকাটিকে নিয়ে যায়নি। এক বছর আগে নৌকোটি তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে।’ এদিকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে নৌকোটি তৈরি করার কারিগর পঞ্চাণন মন্ডল ও তাঁর ছেলেরা এভাবে নৌকোটিকে পড়ে পড়ে নষ্ট হতে দেখে হতাশ হয়ে পড়েছেন। তাঁরা বলছেন ‘এক বছর আগে গুজরাতের মিউজিয়ামে নৌকাটিকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আমাদের দিয়ে নৌকাটি তৈরি করানো হয়। কিন্তু কেন্দ্রের অবহেলায় নৌকোটি এখনও মিউজিয়ামে স্থান পেল না। আদৌ নৌকোটি গুজরাতের মিউজিয়ামে নিয়ে যাওয়া হবে কিনা তাও এখন বুঝতে পারছি না।’