প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার অর্থনৈতিক প্রগতি যে একটা ব্যতিক্রমী মাত্রা পেয়েছে তা আজ প্রমাণিত সত্য। সমৃদ্ধির এই গতি আগামী ৫ বছরে রাজ্যের অর্থনীতিকে করে তুলতে পারে কুয়েতের অর্থনীতির সমতুল্য। কোনও কল্পনা নয়, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এক সাম্প্রতিক রিপোর্টেই বলা হয়েছে এ-কথা। সামনের ৪-৫ বছরের মধ্যেই রাজ্যের জিডিপি একটা দৃষ্টান্তমূলক অঙ্কে পৌঁছে যাবে বলে আশা করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৭-’২৮ অর্থবর্ষে জিডিপি দাঁড়াবে ২০ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারে। দেশের মোট অর্থনীতির ৪ শতাংশ জুড়ে বিরাজ করবে বাংলার অর্থনীতি। পৌঁছে যাবে কুয়েতের অর্থনীতির সমপর্যায়ে। এবং ভারতের মধ্যে বাংলার স্থান হবে দ্বিতীয়। মহারাষ্ট্রের ঠিক পরেই।
আরও পড়ুন-মণিপুর ইস্যুতে কেন্দ্রের নীরবতা নিয়ে ব্যথিত মুখ্যমন্ত্রী, টুইট বার্তায় ক্ষোভপ্রকাশ
নতুন করে আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে সিপিএম ৩৪ বছরের শাসনকালে কীভাবে ধ্বংস করেছিল বাংলার অর্থনীতিকে। ঋণে ডুবিয়ে দিয়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যকে। নাভিশ্বাস উঠেছিল কৃষি এবং শিল্পের। ২০১১-তে শাসনক্ষমতায় এসে বাংলাকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ দেখিয়েছিলেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিকল্প অর্থনীতির সাফল্যে ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে রাজ্যের সাধারণ মানুষের। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রীর মতো অজস্র সমাজকল্যাণ প্রকল্পের দৌলতে দুরন্ত গতি এসেছে অর্থনীতিতে। সোনার ফসল ফলছে অর্থনৈতিক প্রগতিতে। এসবিআইয়ের সমীক্ষায় আশা করা হয়েছে, ভবিষ্যতে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত।