শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। আর তার আগে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রস্তুতি তুঙ্গে। বিভিন্ন জেলায় গিয়ে সভা করছেন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতারা। আজ রবিবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে যান তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-প্রয়াত বিশিষ্ট সাংবাদিক দেবাশিস ভট্টাচার্য, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
সেখানে তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের প্রার্থীর সঙ্গে বিজেপির জোট হয়েছে। আমি তথ্য পেশ করব। যদি প্রমাণ করতে না পারি মানহানির মামলা হোক।’ একটি ব্যানার তুলে ধরেন তিনি। সেখানে বাম কংগ্রেস জোট প্রার্থীর বায়রন বিশ্বাস সঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেখা যায়। অভিষেক বলেন, ‘রাম-বাম চোরে-চোরে মাস্তুতো ভাই। একমাস আগে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন সনাতনী হিন্দু বুথে বিজেপি যাতে জেতে তার ব্যবস্থা করব। কিন্তু সংখ্যালঘু বুথগুলিতে জোড়াফুল যাতে না জেতে তার ব্যবস্থা করে এসেছি।’ শুভেন্দু অধিকারীর সেই অডিয়ো চালান অভিষেক। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘শুভেন্দু কার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে?’
আরও পড়ুন-ইস্টবেঙ্গলের সামনে আজ মুম্বই চ্যালেঞ্জ
এদিন তিনি বলেন, ‘অধির চৌধুরীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সিআরপিএফ কার অধীনে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে। অমিত শাহ। যিনি এনআরসি নিয়ে এসেছেন। সেই অমিত শাহের পুলিশ অধীর চৌধুরীকে নিরাপত্তা দিচ্ছেন। অধীর চৌধুরীর বাংলার পুলিশের উপর ভরসা নেই। এর থেকে বড় গদ্দার কেউ নেই। এনআরসি নিয়ে কতদিন লড়াই করেছেন? অধীর চৌধুরী, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সুদীপ্ত সেন লিখিত বয়ান দিয়েছে। তাও ইডি একদিনও ডাকেনি। আমায় ২০টি নোটিস দিয়েছে। কারণ এরা বিজেপির এজেন্ট হয়ে কাজ করছে। একটা কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে পদ্মফুলকে ভোট দেওয়া। তৃণমূলকে জেতালে এনআরসি বাস্তবায়িত করতে দেব না। গুজরাটে কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল এতদিন। সংগঠন আছে। কংগ্রেস প্রতিবাদ করে না। অসমে ১৭ লক্ষ লোককে এনআরসি করে নাগরিকত্ব থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ কংগ্রেসের সংগঠন থাকার পরও তারা প্রতিবাদ করে না। কতবার দেখা গেছে অধীর রঞ্জনকে? তৃণমূল কংগ্রেস বারবার প্রতিবাদ করেছে।’
আরও পড়ুন-আজ দিনহাটায় ঘেরাও নিশীথের বাড়ি
অধীর চৌধুরীকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, ‘অধির চৌধুরী কোনওদিন বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলে না। একমাস ধরে ক্যাম্পেন হচ্ছে। ২০১৯ সালে এই সাগরদিঘি থেকে পাঁচ পরিবারের পাঁচ সদস্য জঙ্গিদের গুলিতে মারা গিয়েছিল কাশ্মিরে। আমাদের সরকার পাশে দাঁড়িয়েছিল। একদিনের জন্য কংগ্রেসের কেউ ওই পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেছে? কথা বলেছে? তাঁদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে? ইডি-সিবিআইকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে।’