বিধানসভাই শপথের আদর্শ জায়গা, বোসকে পাল্টা চিঠি অধ্যক্ষের

বিধানসভাই শপথের আদর্শ জায়গা। এই সদনের ঐতিহ্য-গরিমা-ইতিহাস কোনও অংশেই রাজভবনের থেকে কম নয়।

Must read

প্রতিবেদন : বিধানসভাই শপথের আদর্শ জায়গা। এই সদনের ঐতিহ্য-গরিমা-ইতিহাস কোনও অংশেই রাজভবনের থেকে কম নয়। আমার অনুরোধ, আপনি দ্রুত শপথের একটি দিন ঠিক করুন। আর আপনি শপথবাক্য পাঠ করাতে চাইলে বিধানসভায় আসুন। আমরা যাবতীয় বন্দোবস্ত করব। ঠিক এই বয়ানেই মঙ্গলবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠি পাঠালেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-করম বিসর্জনের শোভাযাত্রায় সাধারণের সঙ্গে সাংসদ

ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়ের শপথ গ্রহণ নিয়ে রাজ্যপালের অকারণ টালবাহানা-আবদারের প্রেক্ষিতে স্পিকারের পাঠানো এই চিঠি নতুন মাত্রা যোগ করেছে রাজ্য-তার আগে অবশ্য আবারও একপ্রস্থ নতুন নাটক করেছেন রাজ্যপাল। এবার ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত বিধায়ককে রাজভবনে ডেকে শপথবাক্য পাঠ করানোর ইচ্ছা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। এরপরই পাল্টা চিঠিতে রাজ্যপালকে বিধানসভায় আসার অনুরোধ জানালেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।
মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে রাজ্যপাল দাবি করেছেন, নির্মলচন্দ্র রায় তফসিলি জাতির একজন প্রতিনিধি, তাই তাঁকে রাজভবনে শপথবাক্য পাঠ করালে রাজভবনের গরিমা বাড়বে। রাজ্যপালের দাবি, এই শপথ গ্রহণ বার্তা দেবে যে রাজভবন সবার জন্য খোলা। মুখ্যমন্ত্রী সেই চিঠির প্রতিলিপি স্পিকারকে পাঠিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এরপরই রাজভবনে একটি পাল্টা চিঠি পাঠান বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মেনে দেগঙ্গায় যুদ্ধকালীন তৎপরতা, হানি হাব তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে

অধ্যক্ষের স্পষ্ট কথা, বিধানসভার গরিমা, রাজভবনের থেকে অনেক বেশি। এখানে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ শপথ গ্রহণ করেছেন। তাই রাজ্যপালকে বিধানসভায় গিয়ে শপথ গ্রহণ করানোর কথা বলেছেন অধ্যক্ষ।
এর আগে দুপুরেই রাজ্যপাল বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব দিয়েছেন বলে খবর মেলে। তবে রাজ্যপাল অধ্যক্ষকে এড়িয়ে উপাধ্যক্ষকে শপথবাক্য পাঠের বিষয়ে বিধানসভায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন-হস্টেল সমস্যা নিয়ে ঘেরাও উপাচার্য

অধ্যক্ষ বলেন, বিধায়কের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে এর আগে রাজ্যপালের এমন আচরণ দেখা যায়নি। পরিষদীয় মন্ত্রী বলেন, রাজ্যপাল যা করেছেন তা একেবারেই প্রত্যাশিত নয়। উল্লেখ্য, রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছিল, নির্মল রায়কে শপথের দিনক্ষণ জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। অথচ নির্মলচন্দ্রের দাবি, তিনি চিঠিটি পেয়েছেন সেই নির্ধারিত দিনের ৪৮ ঘণ্টা পর। এতে ক্ষুব্ধ হয় রাজ্য সরকার। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যপালকে চিঠি লেখেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এরপর রাজ্যপাল শোভনদেবকে পাল্টা চিঠি দিয়ে জানান, শপথের দিন তিনি ঠিক করে দিয়েছিলেন, কিন্তু পরিষদীয় দফতরে সেই ফাইলে সই করার মতো কেউ ছিলেন না।

Latest article