মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মেনে দেগঙ্গায় যুদ্ধকালীন তৎপরতা, হানি হাব তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে

Must read

সুমন তালুকদার, বারাসত: মধু চাষিদের আর্থিকভাবে সচ্ছল ও স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গা করতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হানিহাব (Honey hub) করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশমতো উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার কৃষক মান্ডিতে এই হানি হাব তৈরির কাজ প্রায় শেষের মুখে। রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তায়, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ হাবটি নির্মাণের কাজ করছে। জেলা হটিকালচার বা উদ্যানপালন দফতরের তত্তাবধানে আগামী দিনে মধু প্রসেসিংয়ের কাজ হবে। এই হাবটি চালু হলে সংগৃহীত মধুর প্রক্রিয়াকরণ হবে এখানেই। নানা রকমের মধু রাজ্যের সরকারি বিপণনকেন্দ্রে যেমন বিক্রি হবে তেমনই দেশ-বিদেশেও রফতানি করা হবে। ফলে সুন্দরবন সহ জেলার কয়েক হাজার মধু চাষিদের আর্থিক সঙ্গতি হবে, বাড়বে কর্মসংস্থান ও স্থানীয় অনুসারী ব্যবসা। পাশাপাশি মধু চাষের প্রতি মানুষের আগ্রহ আরও বাড়বে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী জানালেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদাই মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছেন। আমাদের জেলায় বহু মধু চাষি আছেন, আমাদের জেলায় সুন্দরবন আছে। বিদেশের বাজারে সুন্দরবনের মধুর চাহিদা প্রচুর। এসব কথা মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রী দেগঙ্গায় হানি হাব (Honey hub) তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। হাবটি চালু হলে এখানে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে। মধু চাষিরা ছাড়াও স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবেন। আশা করা যায় চলতি বছরের শেষের দিকে নির্মাণকাজ শেষ হবে। আগামী বছরের মাঝামাঝি হানি হাবটি চালু করা যাবে। জেলা পরিষদের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অরবিন্দ ভট্টাচার্য জানালেন, এই হাবটি তৈরির জন্য রাজ্য সরকার ৮ কোটি ৬০ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে। ৭০-৮০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। বাকি কাজও খুব শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে। জেলা উদ্যানপালন দফতরের আধিকারিক কুশধ্বজ বাগ বলেন, এতবড় হানি হাব রাজ্যে প্রথম। হাবটি পুরোদস্তুর চালু হলে প্রতিদিন কয়েক টন মধু উৎপাদন করা যাবে। তাঁর কথায়, এখানে থাকবে উন্নয়ন ল্যাবরেটরি ও অত্যাধুনিক প্রসেসিং ব্যবস্থা। এখানে মধু চাষিদের থেকে মধু সংগ্রহ করে তার স্যাম্পেলিং করা হবে। সেগুলি পাঠানো হবে টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে। গুণগত মানের ভিত্তিতে প্রসেসিং এর পর আলাদা আলাদা গ্রেডিং করে প্যাকিং করা হবে। এর ব্র্যান্ডিংও করা হবে। তারপর মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রেডের মধু বাজারজাত করা হবে। হাবে মধু স্টোরেজেরও সুবিধা থাকবে। বিদেশের বাজারে সুন্দরবনের মধুর চাহিদা বেশি হওয়ায় সুন্দরবনের মধুর ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। এই হাব হওয়ায় মধু চাষিরা ক্ষতির হাত থেকে যেমন বাঁচবেন তেমনি বাড়বে মধু চাষের প্রবণতা। বাড়বে ফল ও ফুলের ফলনও।

আরও পড়ুন- রাজ্যের ১৩০টি এলাকা চিহ্নিত করে চলছে বিশেষ নজরদারি

Latest article