প্রতিবেদন : বীরভূম জেলায় নতুন কমিটি তৈরি করে দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলার সংগঠনে কিছুটা রদবদল করলেন। মঙ্গলবার কালীঘাটের বাসভবনে বীরভূম জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেন নেত্রী। সেখানেই দায়িত্ব ভাগ করে দেন তিনি। আগের ৯ সদস্যের কমিটি ভেঙে বীরভূমের জন্য ৫ জনের একটি কোর কমিটি করে দিয়েছেন নেত্রী। কমিটিতে রাখা হয়েছে চন্দ্রনাথ সিনহা, আশিস বন্দোপাধ্যায়, বিকাশ রায়চৌধুরী, সুদীপ্ত ঘোষ ও অভিজিৎ সিংহকে। নতুন কমিটি করে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াইয়ে নামতে হবে।
আরও পড়ুন-স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে অস্ত্রোপচারে নয়া বিধি, আউটডোর খুলবে ৯টায়, পরিচ্ছন্নতায় জোর
বীরভূম জেলার দু’টি লোকসভা আসনই তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে। এদিনের বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গ তুলে নেত্রী বলেন, ওকে জোর করে আটকে রেখেছে। তবে চিরদিন তো আর আটকে রাখতে পারবে না। অনুব্রত বেরোলে ওর জায়গা ও ফিরে পাবে। তবে দল অনুব্রত ও তাঁর মেয়ের পাশে আছে থাকবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এখন থেকে জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ নানুর ও বোলপুরের সংগঠন দেখবেন। আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় দেখবেন রামপুরহাট ও হাসন, অভিজিৎ সিংহ দেখবেন লাভপুর, সাঁইথিয়া ও ময়ূরেশ্বর। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা দেখবেন বোলপুর, নলহাটি, মুরারই, ময়ূরেশ্বর। বিকাশ রায়চৌধুরী সিউড়ি ও দুবরাজপুর। সুদীপ্ত ঘোষ দেখবেন দুবরাজপুর।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ কথা, নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে সবকিছুকে একপাশে সরিয়ে রেখে লোকসভা ভোটের লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। বিজেপির জনবিরোধী নীতি ও বাংলাকে বঞ্চনার বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে। বিজেপি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে যেভাবে বাংলার গরিব মানুষের টাকা আটকে রেখেছে তা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলতে হবে। বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না। এদিনের বৈঠকে নেত্রী ছাড়াও রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সামিরুল ইসলাম সহ বীরভূমের দলের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা নেতা-নেত্রী, মন্ত্রী, বিধায়ক ও সাংসদরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনেই লোকসভায় লড়াইয়ে আমরা নামব। বীরভূমের মাটিতে বিজেপির কোনও ঠাঁই নেই। বৈঠকে নেত্রী যাকে যা দায়িত্ব দিয়েছেন সেই মতোই জেলায় সংগঠন চলবে। তিনি বলেন,খুব শীঘ্রই বীরভূম যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।