প্রতিবেদন : স্বপ্নের ডানায় ভর করে মেদিনীপুর থেকে সুদূর নাসায় পৌঁছে গেলেন মেদিনীপুরের বিশ্বজিৎ ওঝা। বছর দুয়েক আগে সোলার উইন্ড কন্ট্রোল অফ ওয়েভ অ্যাকটিভিটি ইন দি ম্যাগনেটোস্ফিয়ার সংক্রান্ত বিষয়ে একটি প্রোজেক্ট তৈরির মাধ্যমে গবেষণার ইচ্ছে প্রকাশ করে নাসাতে আবেদন জানান তিনি। সেই গবেষণার কাজে নাসা থেকে ডাক পান বিশ্বজিৎ। রামকৃষ্ণ মিশন স্কুলে পড়াশোনার পর খড়্গপুর কলেজ থেকে স্নাতক হয়ে বিশ্বভারতী থেকে পদার্থবিদ্যায় মাস্টার ডিগ্রি করেন তিনি।
আরও পড়ুন-ধস রুখতে পাহাড়ে বিশেষজ্ঞদল
তারপর পাড়ি মুম্বইয়ের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ জিওম্যাগনেটিসমে। সেখানেই তরঙ্গ নিয়ে গবেষণা শুরু। ছেলের বিরাট সাফল্যে ভীষণ খুশি বিশ্বজিতের বাবা পেশায় মুড়িবিক্রেতা বিষ্ণুপদ ওঝা বলেন, ‘ও আমাদের গর্ব। দেশের জন্য ছেলে ভালো কিছু করুক, চাই।’ বিশ্বজিৎ জানান, ‘পৃথিবীর বাইরে প্রায় ৬ হাজার কিমি দূরে রয়েছে রেডিয়েশন বেল্ট। এই অবস্থায়, প্রায় ১৮ থেকে ২৪ হাজার কিমি দূরে সৌরজগৎ ও মহাকাশের বিভিন্ন দিক থেকে আসা প্রচুর পরিমাণ উচ্চ শক্তির পার্টিক্যাল বা কণা পৃথিবীর দিকে আসতে থাকে। যদিও কণাগুলি বিভিন্ন তরঙ্গ দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে কণাগুলি পৃথিবীপৃষ্ঠে আসতে পারে না। লক্ষ্য, ওই তরঙ্গগুলিকে সনাক্ত করে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা।’
আরও পড়ুন-দুর্গাপুরে বর্জ্য থেকে জৈব সার
উচ্চশক্তির কণাগুলিকে কীভাবে তরঙ্গগুলি প্রতিহত করছে সে সম্পর্কেও গবেষণা চালাচ্ছেন তিনি। তাঁর এই গবেষণা সফল হলে পৃথিবীর চারপাশে যে স্যাটেলাইটগুলি প্রতিনিয়ত ঘুরছে, সেগুলি ক্ষতির হাত থেকে বাঁচবে। ফলে পৃথিবীতে থাকা পাওয়ার গ্রিড থেকে শুরু করে নেটওয়ার্কিং সিস্টেমও সুরক্ষিত থাকবে। নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানী ডেভিড সাইব্যাকের সঙ্গে এই গবেষণা চালাচ্ছেন বিশ্বজিৎ।