নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : রাজধানীতে দেশের সবচেয়ে বিলাসবহুল, কার্যত সাততারা পার্টি অফিস (Delhi BJP Party Office) বানিয়েও কোটি কোটি টাকা কেন্দ্রীয় কর বকেয়া রেখেছে মোদি-শাহের দল। কেন্দ্রীয় আবাসন এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রাপ্য টাকা বকেয়া রেখেছে কেন্দ্রের শাসক দল। দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের ৪ একর জমিতে কার্যালয় বাবদ এই বকেয়ার পরিমাণ বিজেপিরই সবচেয়ে বেশি। খোদ কেন্দ্রের শাসক দলের কাছেই কেন্দ্রের বকেয়ার পরিমাণ ৭০ কোটি টাকা। নগরোন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়েছে, বিজেপি সহ ১৪টি রাজনৈতিক দলের দিল্লির কার্যালয়ের জন্য মোট বকেয়া ১৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বকেয়া রয়েছে বিজেপিরই (Delhi BJP Party Office)।
এর পাশাপাশি দিল্লিতে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের স্থায়ী কোনও কার্যালয় না থাকলেও আশ্চর্যজনকভাবে বকেয়ার তালিকায় রাখা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নামও। বাকি দলগুলির মধ্যে রয়েছে সিপিএম, জনতা দল ইউনাইটেড, ডিএমকেও। কোটলা রোডে কংগ্রেসকে দেওয়া ২ একর জমির জন্য মন্ত্রকের প্রাপ্য ২০ কোটি টাকা। সরকারি সূত্রে খবর, এই বকেয়ার কারণ সামনে রেখে এবার জমি বরাদ্দের নীতি সংশোধন করে ‘গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট’ হস্তান্তর নীতি গ্রহণ করতে চলেছে মোদি সরকার।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের বাড়ি থেকে মিলেছে বিভিন্ন দেশের পারমাণবিক শক্তির গোপন নথি
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন জানিয়েছেন, জাতীয় দল হওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দিল্লিতে দলীয় কার্যালয়ের জন্য জমির আবেদন করা হয়। তার জন্য পুরো টাকাও মিটিয়ে দেওয়া হয়। দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের পকেট নম্বর ৪ এর ৪ এবং ৫ নম্বর প্লট বরাদ্দ করা হয় তৃণমূলের জন্য। ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর তৃণমূলের জন্য সেই জমি বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু বরাদ্দ করা জমিতে দোকান, বাসস্থান ও মন্দির থাকায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁরা কাউকে উচ্ছেদ করে কার্যালয় নির্মাণের বিরোধী। কেন্দ্রীয় সরকারকে বিকল্প খালি জমি বরাদ্দ করার অনুরোধ জানায় তৃণমূল। যদিও এখনও পর্যন্ত সে ব্যাপারে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি মোদি সরকার। বর্তমানে এক সাংসদের বাংলো থেকে দিল্লির দলীয় কাজ পরিচালনা করছে তৃণমূল। তার পরেও বকেয়া মেটানোর তালিকায় তৃণমূলের নাম থাকায় তীব্র প্রতিবাদ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি বলেন, অনেক বছর ধরে দিল্লিতে আমাদের দলীয় কার্যালয় দেওয়া হয়নি। বিজেপি সব কিছুতেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কাজে লিপ্ত। আমাদের দল এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। দ্রুত সমাধান না হলে আমরা নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বিবেচনা করতে পারি।