মধ্যপ্রদেশে দলবদলের নির্লজ্জ খেলায় বিজেপি

নির্বাচনের মাঝেই একের পর এক দলভাঙানোর নির্লজ্জ খেলায় মেতেছে বিজেপি।

Must read

প্রতিবেদন : নির্বাচনের মাঝেই একের পর এক দলভাঙানোর নির্লজ্জ খেলায় মেতেছে বিজেপি। সোমবারই গেরুয়া মধ্যপ্রদেশে ইন্দোর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অক্ষয়কান্তি বাম বিজেপির ভীতি এবং প্রলোভনের ফাঁদে পা দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন শেষমুহূর্তে। পা বাড়িয়েছেন গেরুয়া শিবিরের দিকে। এবার মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং ৬ বারের বিধায়ক রামনিবাস রাওয়াত একইভাবে প্রলোভন আর ভয়ের ফাঁদে পা দিয়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে। গোয়ালিয়র-চম্বল অঞ্চলের প্রভাবশালী নেতা বিজয়পুরের বিধায়ক রামনিবাস মঙ্গলবার এমন একটা সময়ে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন যখন পাশেরই ভিন্দ জেলায় নির্বাচনী সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন রাহুল গান্ধী। আর ঠিক তখনই শেপুরে গেরুয়া দলের এক সভায় গেরুয়া মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব এবং দলের রাজ্য সভাপতির হাত ধরে এই অনৈতিক দলবদল। স্বাভাবিকভাবেই নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীদের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনে চূড়ান্ত বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী, এটা বুঝতে পেরেই এইভাবে অনৈতিক নির্লজ্জ দলবদলের খেলায় নেমেছে মোদি-বাহিনী। এর আগে ২৯ মার্চ অমরওয়াদার কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ শাহকে এভাবেই দলে টেনেছিল বিজেপি। অর্থাৎ রামনিবাস বিধায়ক হিসেবে বিজেপির দ্বিতীয় শিকার।

আরও পড়ুন-কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, জানাল অ্যাস্ট্রোজেনেকা

লক্ষণীয়, সোমবার ইন্দোরে যে কংগ্রেস প্রার্থী শেষমুহূর্তে বিজেপির ফাঁদে পড়ে রহস্যজনকভাবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন সেই অক্ষয় বামের বিরুদ্ধে ১৭ বছর ধরে একটি খুনের মামলা ঝুলছে। তাঁকে অপহরণেরও অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। এর আগে মোদিরাজ্য সুরাটেও রহস্যজনকভাবে কংগ্রেস প্রার্থীর মনোনয়নপত্র রহস্যজনকভাবে বাতিল হয়ে যায়। এরপরে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন নির্দল প্রার্থীরাও। ফলে বিনা লড়াইয়ে জয়ের পথ মসৃণ হয়ে যায় গেরুয়া প্রার্থীর। নেপথ্যে অবশ্যই বিজেপির নিখুঁত অঙ্ক। যে অঙ্কে অরুণাচলের অন্তত ৬টি বিধানসভা আসনও দখল করে নিয়েছে মোদির দল। গেরুয়া রাজ্যগুলিতে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করার এই খেলায় মেতে ওঠার জন্য বিজেপির বিরুদ্ধে ধিক্কার উঠেছে দেশজুড়ে।

Latest article