প্রতিবেদন : বিজেপি (BJP) তাদের চরিত্র অনুযায়ী নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দের কালো চেহারাটা আরও একবার প্রকাশ্যে দেখিয়ে দিল। বিজেপির সাংসদ-বিধায়কের সামনেই ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে সমানে লাথি মারা হল জলপাইগুড়ির প্রাক্তন জেলা সভাপতিকে। মারল বিজেপিরই বর্তমান জেলা সভাপতি। আরও একবার বাংলার মানুষ দেখল বিজেপি (BJP) বনাম বিজেপি। ক্ষমতায় না থেকেই বিজেপি-নেতাদের যা আচরণ সকলে দেখল, ক্ষমতায় থাকলে এরা তো হাতে মাথা কাটত। এই কথাটাই এখন আরও বেশি করে বাংলা জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বৃহস্পতিবার ধূপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে বিজেপি প্রার্থী মিছিল নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন। সেসময় মিছিলে ঢুকে জেলা বিজেপির প্রাক্তন সহ-সভাপতি অলোক চক্রবর্তী বিজেপি প্রার্থী ও বিজেপির বর্তমান জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীকে ফুল দিতে যান। সেসময় অলোক চক্রবর্তীকে মিছিলের সামনে থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় বাপি। ধাক্কা লেগে রাস্তায় পড়ে যান অলোকবাবু। এরপর তাঁকে টানা সপাটে লাথি মারতে দেখা যায় বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী ও জেলা বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি পলেন ঘোষকে। রীতিমতো দুই সাংসদ রাজু বিস্তা এবং জয়ন্ত রায়ের সামনেই মারধর করা হয়। তাঁরাও এই ঘটনা আটকাতে কোনও পদক্ষেপ করেননি। এই ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে। বঙ্গ-বিজেপির মাতব্বররা মুখ লুকোনোর জায়গা পাচ্ছে না। পরিস্থিতি এমন যে নূন্যতম সাফাই গাওয়ার জায়গাতেও এঁরা নেই।
এদিকে, মার-খাওয়া অলোক চক্রবর্তী বলেন, শহিদ পরিবারের সদস্যকে বিজেপি প্রার্থী করেছে। তাঁকে আগাম শুভেচ্ছা জানাতে এবং তাঁকে দেখতেই আমি এসেছিলাম। তবে আজ যে ঘটনা ঘটল সেটা সাধারণ কর্মীরা বিচার করবে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলার বিজেপি নেতা-কর্মীদের একাংশ। অবিলম্বে তারা চাইছে বর্তমান বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিক রাজ্য বিজেপির মাতব্বররা। না-হলে এর জল অনেক দূর পর্যন্ত গড়াবে।