প্রতিবেদন : হুবহু উত্তরপ্রদেশের বঁদায়ু কাণ্ডের ঘটনা মধ্যপ্রদেশের দাতিয়ায়। ছোট বোনের সামনেই গণধর্ষণ করা হল দিদিকে। শ্লীলতাহানি করা হল ধর্ষিতার নাবালিকা বোনের। চরম অপমানে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন নির্যাতিতা। ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠল এক স্থানীয় বিজেপি নেতার ছেলের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন-শহরে যান-নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা পুলিশের
শুক্রবার সন্ধ্যায় ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রের বিধানসভা এলাকা দাতিয়াতে। বেশ কিছুদিন ধরেই চরম অরাজকতা চলছে বিজেপি-শাসিত এই রাজ্যে। ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির মতো নারকীয় ঘটনা ছাড়াও দলিতদের উপরেও একের পর পাশবিক অত্যচার চলছে। ছুতোনাতায় হেনস্থা করা হচ্ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে। সম্প্রতি এক দলিত যুবকের গায়ে প্রস্রাব করে দেয় স্থানীয় বিজেপি নেতা। এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান সংবাদমাধ্যমের সামনে নাটক করে ওই দলিত যুবকের পা ধুইয়ে দেন। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির এতটুকু বদল হয়নি।
আরও পড়ুন-একুশের প্রস্তুতি রাজ্য জুড়ে
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, রাজ্যে বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসবে বিজেপির এ ধরনের অসভ্যতা তত বাড়বে। কারণ তাদের লক্ষ্য হল বিদ্বেষ, বিভাজন ও ঘৃণার রাজনীতি করে ক্ষমতা দখল করা। অভিযোগ, বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে জঙ্গলরাজ কায়েম হয়েছে। বিশেষ করে বিজেপি নেতা ও তাঁদের ঘনিষ্ঠরা আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক জঘন্য অপরাধ করে চলেছেন। বিজেপি নেতাদের অপরাধের ক্ষেত্রে চোখ বুজে থাকে পুলিশ। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং তাঁদের কঠোর শাস্তির দাবিতে দাতিয়া থানা ঘেরাও করেন নির্যাতিতার আত্মীয় এবং প্রতিবেশীরা।
আরও পড়ুন-তদন্ত এবং দৈনন্দিন অপারেশনে এবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, কলকাতা পুলিশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
নির্যাতিতা পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁকে এবং বোনকে চার যুবক জোর করে তুলে নিয়ে যায়। একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। শ্লীলতাহানি করা হয় তাঁর নাবালিকা বোনের। ঘটনার পর নির্যাতিতা এবং তাঁর বোন বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন নির্যাতিতা।