শহরে যান-নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা পুলিশের

একুশে জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সমাবেশকে ঘিরে একাধিক পরিকল্পনা কলকাতা পুলিশের। নেওয়া হয়েছে একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা

Must read

প্রতিবেদন: একুশে জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সমাবেশকে ঘিরে একাধিক পরিকল্পনা কলকাতা পুলিশের। নেওয়া হয়েছে একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। সেই লক্ষ্যে সমাবেশের আগের দিন রাত থেকেই মহানগরীর রাজপথে নেমে পড়ছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ বাহিনী। সেই দলে থাকবেন মূলত কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের বিশেষ দল। তারা ধর্মতলা ও তার আশপাশের এলাকাকে মোট ৫টি ভাগে ভাগ করে দায়িত্ব সামলাবেন। ওই ৫টি এলাকার দায়িত্বে থাকছে ট্র্যাফিক পুলিশের ৫টি দল।

আরও পড়ুন-একুশের প্রস্তুতি রাজ্য জুড়ে

একজন করে ইনস্পেক্টর দলগুলির নেতৃত্ব দেবেন। এ ছাড়াও দলে থাকবেন দু’জন সার্জেন্ট এবং ১৮ জন করে পুলিশকর্মী। সমাবেশ উপলক্ষে জেলা ও মফসসল থেকে গাড়ি নিয়ে যেসব কর্মী-সমর্থক সমাবেশে আসবেন তাঁদের গাড়িগুলি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখতে সাহায্য করবেন ওই পুলিশকর্মীরা। গাড়িগুলি নির্দিষ্ট জায়গায় না রাখার জেরে যানজট তৈরি হতে পারে। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাত থেকেই শহরে আগত গাড়ি পার্কিং সামলাতে আসরে নামবে কলকাতা পুলিশ। এছাড়াও সমাবেশের দিন যান চলাচল মসৃণ রাখতে গোটা শহরকে ১৫টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। মূলত যেসব রাস্তা দিয়ে মিছিল, সমাবেশের গাড়ি আসবে, সেইসব এলাকাকে রাখা হয়েছে ওই সব সেক্টরে। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে থাকবেন কলকাতা পুলিশের একজন করে অ্যাসিন্ট্যান্ট কমিশনার।

আরও পড়ুন-তদন্ত এবং দৈনন্দিন অপারেশনে এবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, কলকাতা পুলিশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এবং ক্রসিংয়ে ওই বাহিনী মোতায়েন থাকবে। যারা সমর্থকদের গাড়ি সঠিক রাস্তা দিয়ে সভাস্থলে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবেন। পাশাপাশি, সমাবেশ শেষ হয়ে যাওয়ার পর ট্র্যাফিক ব্যবস্থা দ্রুত স্বাভাবিক করারও চেষ্টা করবে পুলিশ। সব মিলিয়ে পুলিশের মূল লক্ষ্য শহরে যানবাহনের গতি অব্যাহত রাখা। সাধারণ মানুষের সঙ্গে সবরকমের সহযোগিতা করা। এই কারণে নিয়মিত রিভিউ মিটিংয়েও বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লালবাজারের পদস্থ কর্তারা।

Latest article