সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : কে বলবে এলাকার বিধায়ক বিজেপির (BJP MLA)! দিদির দূত কর্মসূচিতে জয়পুর থানার উপরকাহান পঞ্চায়েত এলাকায় জনতার উৎসাহ বুঝিয়ে দিল ভুল বুঝিয়ে বেশিদিন মানুষকে বোকা বানিয়ে রাখা যায় না। বুধবার এলাকায় দিদির দূত কর্মসূচিতে এসেছিলেন তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান হংসেশ্বর মাহাত ও জেলা যুব সভাপতি মেঘদূত মাহাত। তাঁরা গ্রামে পৌঁছতেই ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন মহিলারা। বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ করবেন কী, তাঁদের নিয়ে দুই নেতাকে বসে পড়তে হল এক জায়গায়। মহিলারা জানান, ‘‘ষষ্ঠ পর্যায়ের দুয়ারে সরকার শিবিরের পর কোনও পরিবার কোনও পরিষেবা থেকে বঞ্চিত থাকবেন না। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে জামানত জব্দ হবে বিরোধীদের।’’ জেলা চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘দিদির দূত হিসাবে মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবার কথা বলতে গিয়েছিলাম। তাঁরাই আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন, পরিষেবা পাচ্ছেন। তাঁরা এখন তৃণমূল ছাড়া কোনও দলকে চেনেন না।’’ যুবনেতা মেঘদূত মাহাত বলেন, ‘‘এলাকার মানুষের মূল জীবিকা কৃষি। এছাড়া রয়েছেন বিড়িশ্রমিক, দিনমজুর। প্রায় সকলেই পরিষেবা পাচ্ছেন। দু-একটি এলাকায় রাস্তা ও পানীয় জলের সমস্যা থাকলেও পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্পে রাস্তা হয়ে যাচ্ছে। পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে নলকূপ বসছে। মানুষ তাই খুশি।’’ বাসিন্দাদের বক্তব্য, ‘‘বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) ও সাংসদ স্থানীয় হলেও ভোটের পর থেকে এলাকায় দেখা যায়নি। ওঁদের ওপর আর ভরসা নেই।’’
আরও পড়ুন- হনুমান জয়ন্তীতে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ হাইকোর্টের, রায়কে স্বাগত মুখ্যমন্ত্রীর