প্রতিবেদন : আশঙ্কা ছিলই। সেটাই সত্যি হল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ত্রিপুরার বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লাগাতার অশান্তির খবর আসতে থাকে। দাপিয়ে বেড়ায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও সদস্যদের টার্গেট করা হয়। ভোটের হাওয়া বিজেপির অনুকূলে নয় বুঝে সাধারণ মানুষকে বুথে যেতে বাধা দেওয়ার কৌশল নিয়েছিল রাজ্যের শাসক দল। রিগিং, দেদার ছাপ্পা ভোটের পাশাপাশি বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টদের মারধর করে গেরুয়া বাহিনীর গুন্ডারা। আর বিজেপি শাসিত রাজ্য বলেই ভোটের দিন একাধিক বেনিয়মের ঘটনা দেখেও চোখ বুজে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী।
আরও পড়ুন-মোদিরাজ্যে প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি, মেয়াদ মাত্র ৯ দিন
যদিও বিজেপির সন্ত্রাস উপেক্ষা করেই বিভিন্ন কেন্দ্রে সকাল থেকে বুথে বুথে লম্বা লাইন ছিল সাধারণ ভোটদাতাদের। তৃণমূল-সহ গোটা বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ভিন রাজ্য থেকে পুলিশ এনেও গেরুয়া সন্ত্রাস রুখতে ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন। ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটে নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কড়া নিন্দা করেছেন দলের ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, কমিশন অবাধ-নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করবে বলে আমাদের আশা ছিল। কিন্তু তা মরীচিকায় পরিণত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথ, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিষ্ক্রিয় আর দাপিয়ে বেড়িয়েছে বিজেপির গুন্ডারা। ভিনরাজ্য থেকে বাহুবলীদের নিয়ে আসা হয়েছে। বিশালগড়ে তৃণমূল পার্টি অফিসে বোমাবাজি হয়, কমলপুরে প্রার্থী ও এজেন্টদের হুমকি দেওয়া হয়। খয়েরপুর, ধনপুর, নলচর, বিলোনিয়া, তেলিয়ামুড়ার মতো বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের হুমকি দিয়েছে বিজেপি।