প্রতিবেদন : কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা (নদিয়া উত্তর) তৃণমূল কংগ্রেস নমঃশূদ্র ও উদ্বাস্তু সেলের উদ্যোগে কৃষ্ণনগরের রবীন্দ্রভবনে এক কর্মী-সম্মেলন হল। সভায় মূল বক্তা ছিলেন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা। ছিলেন মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজগোপাল গোস্বামী, করিমপুরের বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহরায়, তৃণমূল নমঃশূদ্র ও উদ্বাস্তু সেলের রাজ্য সভাপতি রঞ্জিত সরকার, বঙ্গজননীর টিনা ভৌমিক সাহা, মিল্টন বিশ্বাস, প্রকাশ দাস, ভোলানাথ বিশ্বাস প্রমুখ স্থানীয় নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন-বইমেলার বন্ধু
শশী তাঁর ভাষণে মতুয়াদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা বলেন। জানান, মুখ্যমন্ত্রী চোখ-কান খোলা রেখেছেন। আমাদের নেতৃত্বও সজাগ, সজাগ কর্মীরাও। আপনাদের প্রিয় দিদি আপনাদের কত ভালবাসেন, আপনারা বোঝেন। উনিই দেশে একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। গোটা দেশের কাছেই এক দৃষ্টান্ত। তাঁকে যাঁরা অপমান করেন, তাঁদের শিক্ষা, রুচি, দর্শন নিয়ে দুঃখ হয়। শশী বলেন, ওঁর ওপর বড় মায়ের আশীর্বাদ আছে। সে জন্যই লড়াই করতে করতে এখানে উঠে এসেছেন। ওঁকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টাও হয়েছে। বিজেপির সমালোচনা করে শশী বলেন, ওরা ভোটের পাখি। সারা বছর ওদের দেখা পাওয়া যায় না। মোদিজির দর্শন, না করুঙ্গা, না করনে দুঙ্গা। আর আমাদের নেতা-কর্মীরা সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকে। তার ওপর নেত্রীর নির্দেশে দুয়ারে যাচ্ছে। মানুষের অভাব-অভিযোগ আছে। সেগুলো শুনতেই তো যাওয়া। সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন প্রসঙ্গে শশী প্রি-ম্যাট্রিক ও পোস্ট-ম্যাট্রিক স্কলারশিপের কথাও উল্লেখ করেন।