ভোট এলেই বিজেপির এনআরসি বা সিএএ নিয়ে চিরচা শুরু হয়ে যায়। এই নিয়ে আজ কৃষ্ণনগরের মঞ্চ থেকে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘আপনারা ভোট দিয়ে এমএলএ নির্বাচন করেন, এমপি নির্বাচন করেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন করেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন করেন। আপনার ভোটেই তো নরেন্দ্র মোদী জিতেছে। প্রধানমন্ত্রী হয়েছে। রানাঘাটের সব ভোট তো নিয়ে গিয়েছে। উনি তাহলে প্রধানমন্ত্রী হলেন কী করে? আপনাদের যদি ভোটাধিকার না থাকে। আপনাদের যদি ভোটাধিকার না থাকে, তাহলে আমাদের জিতিয়েছেন কী করে? এটা পুরো মিথ্যে কথা।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৪ এ বিজেপি ক্ষমতায় আসবে না। আসতে পারে না। কারণ আগের বার বিহার-ঝাড়খন্ডে তাদের সরকার ছিল। বিহার-ঝাড়খন্ড কোথাও নেই। কর্নাটকে হারবে। কেরলে হারবে। তামিলনাড়ুতে আমার বন্ধুর সরকার। গুজরাটে আগের বার সব সিট পেয়েছিল। ষাটে ষাট। উত্তর প্রদেশে সব পেয়েছিল। এবার কি মনে করেন সব সিট পাবে?’
আরও পড়ুন-‘নির্বাচন চলে গেলে ধর্মে-ধর্মে যুদ্ধ’ কৃষ্ণনগর থেকে ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘আপনি যদি নাগরিক না হতেন, তাহলে এগুলো কী করে হতো? বিজেপি কিছু লোককে এখান ওখান থেকে দেখে নিয়ে আসতে চায়। তারা বাংলার লোক নয়, মনে রাখবেন। তাদের বাংলায় অনুপ্রবেশ করানোর জন্য, তাদের কাছে নাগরিকত্ব দিয়ে আপনার অধিকারকে ছোট করবে। আমি চাই, মতুয়ারা এখানকার নাগরিক। রাজবংশীরা এখানকার নাগরিক। উদ্বাস্তুরা এখানকার নাগরিক। আদিবাসীরা এখানকার নাগরিক। সংখ্যালঘুরা এখানকার নাগরিক। আপনারা যদি নাগরিক না হন, তাহলে আমিও নাগরিক নই।’
আরও পড়ুন-কু-কথায় বিজেপি নেতারা লজ্জা দিচ্ছেন, পাল্টা জবাব
মতুয়াদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমি মতুয়া ভাই-বোনেদের বলছি, আপনারা এখানকার নাগরিক। পুরোপুরি নাগরিক। আপনাদের উপর কোনও রকম কেউ কিছু করতে পারবে না। মনে রাখবেন আমি বড় মার চিকিৎসা একা করেছি। আপনাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে দেব না। আমি জীবন দিতে তৈরি। নাগরিকত্ব কাড়তে দেব না।’
তিনি জানান, ‘বাংলাদেশ থেকে কত মানুষ এসেছে। কষ্ট করে সংসার চালিয়েছেন। আজ আমি তাদের নিঃশর্ত জমির দলিল দিচ্ছি। কেন দিচ্ছি? তারা জমি পাওয়ার অধিকার। যে যে জায়গায় উদ্বাস্তুরা যেখানে যেখানে বসে আছেন, তারা সবাই নিঃশর্ত জমির দলিল পাবেন। একটা জায়গা থেকেও উচ্ছেদ করতে দেব না। এটা আমাদের সরকারের সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতি।’