কেএলও-র হাত ধরছে BJP

Must read

বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার : বিজেপি (BJP) যত পায়ের তলার মাটি হারাচ্ছে, তত নানা ফিকিরে রাজ্যে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এবার তাদের (BJP) লক্ষ্য কেএলও (KLO)। রাজ্য সরকারকে (West Bengal Government) সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে সম্প্রতি কেএলও নেতা জীবন সিংহের (Jiban Singha) সঙ্গে শান্তি আলোচনায় নাকি অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে নিযুক্ত করেছে তারা। যা সম্পূর্ণ অনৈতিক। এ ঘটনায় প্রাক্তন কেএলও সদস্যরাই প্রচণ্ড বিরক্ত। কারণ, তাদের জঙ্গি-জীবন ছেড়ে মূলস্রোতে ফেরাতে সর্বপ্রথম যিনি উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

আরও পড়ুন-Mamata Banerjee: কলকাতা পুরভোটে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

২০১১-য় পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এসেই কেএলও-দের পুনর্বাসন নিয়ে কাজ শুরু করে দেন। বাম আমলে বঞ্চনার বিরুদ্ধে এবং পৃথক ভাষা ও রাজ্যের দাবিতে তমির দাস ওরফে জীবন সিংহের নেতৃত্বে বেশ কিছু যুবক আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে কেএলও তৈরি করে এবং জঙ্গি আন্দোলনে নামে। আন্দোলন দমনে তৎকালীন বাম সরকার দমনপীড়ন চালালে বহু জঙ্গির মৃত্যু হয় পুলিশের গুলিতে। ভুটান পাহাড়ে অপারেশন ফ্ল্যাশ আউটে বহু জঙ্গি ধরা পড়ে। জীবন পালিয়ে যায় মায়ানমারে। দীর্ঘদিন বিনা বিচারে জেলেই কাটতে থাকে অনেকের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন সরকার মানবিকভাবে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করে। অনেকেই জেল থেকে মুক্তি পেয়ে ফিরে আসে পরিবারে। তাদের কর্মসংস্থানের জন্য রাজ্য সরকার নানান পরিকল্পনা হাতে নেয়। অনেকে বর্তমানে রাজ্য পুলিশেই চাকরিরত। কেউ পরিবহণের পারমিট নিয়ে ব্যবসা করছে। এই পরিস্থিতিতে আসামের (Assam) মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে জীবন সিংহের সঙ্গে শান্তি আলোচনার নামে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা শুরু করতেই সরব হয়েছে প্রাক্তন কেএলও সদস্যরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্পষ্ট জানালেন, আমাদের নিয়ে চিন্তা করেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাই এই শান্তি আলোচনায় তাঁর বা এ-রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব থাকাটাও জরুরি বলে আমরা মনে করি।

Latest article