সভা বানচালে দলের মঞ্চ ভেঙে দিল বিজেপি কর্মীরাই

ছন্নছাড়া বিজেপিতে অশান্তি-গন্ডগোল চলছেই৷ গোটা বাংলা জুড়ে শুধুই বিজেপি ভার্সেস বিজেপি৷

Must read

প্রতিবেদন : মাত্র একদিন আগেই দিলীপ ঘোষের বিজয়া সম্মিলনীতে পুজোর টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে নিজেদের মধ্যেই ব্যাপক মারামারির পর এবার বীরভূমের খয়রাশোলেও তাণ্ডব চালাল বিজেপিরই কর্মী-সমর্থকরা৷

আরও পড়ুন-হোটেল-রিসর্টের পরিবেশ রক্ষায় উদ্যোগী পঞ্চায়েত

ছন্নছাড়া বিজেপিতে অশান্তি-গন্ডগোল চলছেই৷ গোটা বাংলা জুড়ে শুধুই বিজেপি ভার্সেস বিজেপি৷ মঙ্গলবারের পর বুধবার বিজেপির অন্দরে কোন্দল আরও চরমে উঠল৷ এবার রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে কার্যত ধূলিসাৎ করে দিলেন অনুপম হাজরা৷ সুকান্তকে বিঁধে অনুপম বলেন, যার নিজের কোনও সাংগঠনিক ক্ষমতা নেই। নিজের ওয়ার্ডে ঘোরে ২০টা লোক নিয়ে, যার মধ্যে ১৮ জন দেহরক্ষী। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী আর তাঁবেদার পরিবেষ্টিত হয়ে চলাফেরা করে৷ তাই রাজ্য সভাপতিকে বলব, নিজের বাড়ির এলাকায় সংগঠনের মন দিন৷ না হলে লোকসভা নির্বাচনে কিছু করে উঠতে পারবেন না৷

আরও পড়ুন-রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের শীর্ষ স্তরে রদবদল

বীরভূমের খয়রাশোলে বিজেপির একটি সভায় বক্তব্য রাখার কথা ছিল৷ কিন্তু দেখা গেল, অনুপম সভায় পৌঁছনোর আগেই বিজেপির একদল কর্মী-সমর্থক সভায় ভাঙচুর চালাচ্ছে৷ এবং অনুপম যাতে না আসেন তার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে বিজেপিরই কর্মীরা৷ তাঁরা লাঠিসোঁটা নিয়ে সভাস্থলে তাণ্ডব চালাতে শুরু করে৷ ভণ্ডুল হয়ে যায় বিজেপির খয়রাশোলের সভা৷ শুধু তাই নয়, এই ঘটনার পরেই অনুপম হাজরা অভিযোগ করেছেন, জোর করে তাঁর হোটেল বুকিং ক্যানসেল করা হয়েছে৷ তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, সভাপতির বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখার কারণেই তাঁর সভা ভণ্ডুল করা হয়েছে। লজের বুকিংও বাতিল হয়েছে। এ-সবই হচ্ছে বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর অঙ্গুলিহেলনে৷ যেখানে বিজেপির একজন কাউন্সিলরও জিততে পারেন না, সেখানে এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে জেলা সভাপতি কতোখানি অপদার্থ।

Latest article