প্রতিবেদন : রাজ্যপাল হিসেবে নিজের পদমর্যাদা তো নষ্ট করেইছেন, একইসঙ্গে অপব্যবহারও করেছেন। বিজেপির রাজনৈতিক ইচ্ছাপূরণে কুৎসিতভাবে সশরীরে মাঠে নেমেছেন। রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের আগে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা বা পরামর্শ করেননি। যা সংবিধান বিরোধী। রাজ্য সরকারের সঙ্গে পরামর্শ না করে মন্ত্রিসভা ও বিধানসভার অনুমোদন না নিয়ে নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে বাংলার রক্তস্নাত যন্ত্রণার অতীতকে কাটাছেঁড়া করে বাংলার মানুষকেই অপমান করেছেন সিভি আনন্দ বোস।
আরও পড়ুন-সোমবার রাতে কিয়েভে ড্রোন হামলা রাশিয়ার, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
এই ঘটনার পর বাংলার রাজ্যপাল থাকার অধিকার নেই তাঁর। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের কোনও দিবস নেই। থাকার প্রয়োজনও নেই। অতীতের কবর খুঁড়ে রক্তাক্ত স্মৃতি বের করে আনার কি খুব প্রয়োজন ছিল? মিডিয়া অ্যাটেনশনের জন্য রাজভবনে হাস্যকরভাবে পিস রুম খুলে বসেছেন। সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর চেষ্টা করছেন। রাজ্যপাল রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গের জন্মদিন করছেন আর বিজেপি তাকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে বাংলার মানুষের কাছে। বিজেপির সংগঠন বলে কিছু নেই। বুথে লোক নেই। সব জায়গায় দেওয়ার মতো প্রার্থী নেই। যে দলের নেতারা টিভি ক্যামেরার সামনে হুংকার আর ইডি-সিবিআইয়ের ভরসায় রাজনীতি করেন তাদের দুর্বলতা ঢাকতে বিজেপির ওপর মহলের নির্দেশে ভোটের বাজারে একটু একটু করে মুখোশ খুলছেন রাজ্যপাল। দাঁত-নখ বেরিয়ে পড়ছে। বিজেপির এজেন্ট হয়ে তাদের এজেন্ডা পূরণের উদ্দেশ্যে প্রাণপাত করছেন। এতটা নির্লজ্জ হওয়ার কি খুব দরকার ছিল?